নিজের ছায়া হয়ে পড়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিবর্ণ হয়ে পড়ায় বাদ পড়েছিলেন জাতীয় দল থেকেও। তবু ২ কোটি রুপিতে তাকে কিনেছে চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের স্লো উইকেটের সুবিধা নিয়ে সফলও হয়েছেন মোস্তাফিজ।
বিশ্বকাপের উইকেট অবশ্য চেন্নাইয়ের মত হবে না। তাই সেখানে শুধু গতি কমিয়ে স্লোয়ার, কাটার দিয়ে সফলও হওয়া যাবে না। ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এটাই স্মরণ করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তী ডোনাল্ড মোস্তাফিজকে পরামর্শ দিলেন বিশ্বাকাপে সফল হবেন কীভাবে। এর আগে স্মরণ করিয়ে দিলেন তার ভুলগুলোও, ‘‘মোস্তাফিজ চোখ বন্ধ করে ঘুমের মধ্যেও অফ পেস বল করতে পারবে। ওর শরীর আর মন সেভাবেই প্রতিবার কাজ করে। এজন্য বাংলাদেশে থাকার সময় খুবই কঠোর হয়েছিলাম ওর সুইংগিং ডেলিভারি নিয়ে। নিউজিল্যান্ড সফরে ওর কব্জি ও বল ছাড়ার সময়ে কিছু সমস্যা পেয়েছিলাম। তার স্লোয়ার বল হাতের পাশ থেকে বেরিয়ে আসছিল সামনে থেকে নয়।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুধু কাটার ও স্লোয়ারে যে কাজ হবে না, মোস্তাফিজকে সেটা মনে করিয়ে দিয়ে ডোনাল্ডের পরামর্শ, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের জন্য মোস্তাফিজকে মনে করিয়ে দেওয়া উচিত অনুশীলনে যেন ও গতির বলগুলোতে বেশি মনোযোগ দেয়… যদি ভাবনায় শুধু কাটার, স্লোয়ার থাকে তাহলে বুঝতেই পারছেন কি বলতে চাচ্ছি আমি।’’
তবে আইপিএলে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সের প্রশংসাই করেছেন ডোনাল্ড, ‘‘স্টক বোলিংয়ে আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছিল মোস্তাফিজের। ডানহাতি ও বামহাতি ব্যাটারদের জন্য তার যে সহজাত সুইং তাও ধার হারাচ্ছিল। আত্মবিশ্বাস তখনই পাওয়া যায় যখন বল সুইং করিয়ে ব্যাটারকে খেলতে বাধ্য করা হয়। আমি তাকে সেটাই করানোর চেষ্টা করেছিলাম। আইপিএলে বোলিং দেখে মনে হচ্ছে মোস্তাফিজ তার স্টক ডেলিভারিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। বোলিংয়ে শুধু গতিই নয়, বৈচিত্র্যেও ভালো করছে। নিজের ক্রিকেট উপভোগ করছে ও।’’