এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে খেলা হলে একরকম, অন্য মাঠে হলে আরেক রকম। এবারের আইপিএলে মোস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্সকে দুইভাবে মূল্যায়ন করা যায়। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলা বাঁহাতি পেসার ঘরের মাঠে দুর্দান্ত বোলিং করছেন। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচে হয়ে যাচ্ছেন খরুচে। এই মোস্তাফিজকে দেখে হতাশ অনেকেই।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লখনউ সুপার জায়ান্টসের মাঠে আতিথ্য নিয়েছিল চেন্নাই। মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে অপরাজিত ২৮ রানে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল চেন্নাই। কিন্তু তাদের বোলারদের দুর্বল পারফরম্যান্সে ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে লখনউ।
এই ম্যাচে মোস্তাফিজ ছিলেন নিষ্প্রভ। একটি উইকেটে পেয়েছেন যদিও, তবে ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান। শুধু লখনউয়ের ম্যাচ নয়, অ্যাওয়েতে গেলেই খেই হারাচ্ছেন বাংলাদেশ পেসার। এর আগে বিশাখাপত্তনমে খরচ করেছিলেন ৪৭ রান। ওয়াংখেড়েতে তো আরও বেশি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১ উইকেট নিতে দিয়েছিলেন ৫৫ রান।
অথচ এই মোস্তাফিজই চেন্নাইয়ের ম্যাচে খুবই কার্যকরী। এবারের আইপিএলে চেন্নাইয়ের প্রথম ম্যাচেই করেছিলেন বাজিমাত। ২৯ রান খরচ করে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এমএ চিদাম্বরমের পরের ম্যাচেও আলো ছড়িয়ে ৩০ রানে নেন ২ উইকেট। এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খরচ করেন মাত্র ২২ রান, নেন ২টি উইকেট।
কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচে তার পারফরম্যান্স দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। লখনউয়ের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ের পর দেখা যাচ্ছে অ্যাওয়ে ম্যাচে তিনি ওভারপ্রতি খরচ করেছেন অন্তত ১০ রান। যদিও লখনউয়ের ম্যাচে মোস্তাফিজের ভালো পারফরম্যান্স আশা করেছিলেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। বাঁহাতি পেসার প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় কিছুটা হতাশই হয়েছেন তিনি।
হার্শা বলেছেন, “প্রথম ইনিংস দেখে মনে হয়েছিল উইকেটে বল ধরছে, মোস্তাফিজের ভালো করার কথা এই উইকেটে। তবে পরে ব্যাটারদের জন্য উইকেট ভালো হয়ে যায়।”
মোস্তাফিজদের বোলিং দেখে সন্তুষ্ট নন অস্ট্রেলিয়ান কোচ টম মুডি, “মোস্তাফিজুর, দেশপান্ডে, জাদেজা- সবাই ওভারপ্রতি ১০-এর বেশি রান দিয়েছে। এমন বোলারদের কাছে আপনি কখনোই এমনটা প্রত্যাশা করবেন না। এটা চেন্নাইয়ের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল।”
