দেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ব্যক্তিগত চারশো রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মুস্তাকিম হাওলাদার। সাদ পারভেজকে (২৫৬) নিয়ে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের হয়ে স্কুল ক্রিকেটে খেলা এই মুস্তাকিম জুটির রেকর্ডও গড়েছেন। দুজনে মিলে যোগ করেছেন ৬৯৯ রান।
সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের বিপক্ষে আগে ২ উইকেটে ৭৭০ রান করে ৭৩৮ রানে জিতেছে ক্যামব্রিয়ান। তাদের বিপক্ষে গ্রেগরি অলআউট হয়েছে মাত্র ৩২ রানে।
ওপেনিংয়ে নেমে ব্যাট ক্যারি করেছেন মুস্তাকিম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ওই ম্যাচ শেষে মুস্তাকিমকে নিয়ে আসা হয় মিরপুর স্টেডিয়ামে। সেখানে প্রথমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন অনূর্ধ্ব-১৮তে খেলা এই কিশোর ক্রিকেটার।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন তার পাওয়ার হিটিংয়ের রহস্য ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট। ১৭০ বলে ৪০৪ রানের ইনিংসে ৫০টি চার ও ২২টি ছক্কা মেরেছেন মুস্তাকিম।
স্বল্পভাষী এই তরুণ বলেছেন সাকিব তার ক্রিকেটের আইডল, “ক্যারিবিয়ানদের যে খেলা বা টুর্নামেন্ট হয় সেগুলো দেখতে বেশি ভালো লাগে। ওদের ব্যাটিংগুলো দেখি, ওদেরটা দেখতে ভালো লাগে। আমার আইডল তো অবশ্যই সাকিব আল হাসান।”
মুস্তাকিমের জন্য বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ব্যাটিং করেছিলেন এই কিশোর, “আমার একটা ২৫৮ রানের ইনিংস ছিল। এটার পর থেকে উজ্জীবিত হয়েছিলাম যে আরও ভালো করবো।”
তবে অনুশীলনে পাওয়ার হিটিংয়ের অভ্যাসটাই এগিয়ে দিয়েছে মুস্তাকিমকে, “অনুশীলনে তো অ্যাটাকিং ব্যাটিং করা হয়। আমার কোচ বলেন যে কোন স্লো ক্রিকেট খেলা যাবে না। কারণ এখন তো ক্রিকেট অনেক পরিবর্তন হয়েছে তাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং-ই করা হয়।”
কিন্তু প্রতিদিনের ক্রিকেট তো আলাদা। মঙ্গলবার কীভাবে এত ভালো খেললেন মুস্তাকিম? এই কিশোর জানালেন, “যখন ক্রিজে ছিলাম, বল-ব্যাটে কানেকশন করার চেষ্টা করছিলাম। দেখলাম যে খুব ভালো হচ্ছে। পরে তো বেশ ভালো লাগছিল ব্যাট করতে। আর আল্লাহ যেদিন দেয় সেদিন তো যে কোন কিছু হতে পারে।”