Beta
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

জিম্মি নাবিকদের ঈদের নামাজ দিচ্ছে কোন বার্তা

ss-mv abullah-nabik-10-4-24
[publishpress_authors_box]

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি হন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক। এরমধ্যেই এসেছে রোজার ঈদ। দস্যুরা যেখানে জাহাজ ভিড়িয়ে রেখেছে, সেই সোমালিয়ায় বুধবার ছিল ঈদ।

এই নাবিকদের নামাজ পড়ার একটি ছবি এসেছে তাদের পরিবারের কাছে। ছবিটি এর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে গণমাধ্যম হয়ে সোশাল মিডিয়ায়। ছবিতে ঈদের পাজামা-পাঞ্জাবিতে হাস্যোজ্জ্বল নাবিকদের দেখে অন্য নাবিকরা ধারণা করছেন, মুক্তিপণ নিয়ে হয়ত সমঝোতা হয়ে গেছে। তাদের মুখে সেই আভা ফুটে উঠেছে।

কাজের প্রয়োজনে জাহাজের ডেকে বা খোলা অংশে ঈদ কাটানো নাবিকদের জন্য খুব সাধারণ বিষয়। কিন্তু এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের এবারের প্রেক্ষাপট পুরোই ভিন্ন।

ডেকে ২২ নাবিকের ছবিটি পাওয়া যাচ্ছে। ছবিতে তাদের চোখেমুখে ভয়ের ছাপ দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বাকি এক নাবিকই তুলেছেন ছবিটা। তবে তিনি কোনজন, তা জানতে পারেনি সকাল সন্ধ্যা।

নাবিকদের পোশাক দেখে অনেকেই ধারণা করছেন, এবার হয়তো জাহাজে ঈদ কাটানোর প্রস্তুতি ছিল তাদের।

নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “নাবিকদের ঈদের নামাজের ছবিটি আমাদের কাছেও এসেছে। ছবিতে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২২ নাবিক আছে। যে নাবিক ছবিটি তুলেছে, তার নাম আমরাও জানতে পারিনি।”

তিনি বলেন, “ছবি দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে, মুক্তিপণ নিয়ে হয়ত সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে। ফলে দস্যুরা নাবিকদের নামাজ পড়ার সুযোগ দিয়েছেন। এটা ভালো লক্ষণ। তবে কবে নাগাদ নাবিকরা মুক্তি পাবেন সেই তথ্য আমাদের কাছে নেই।”

গত ৯ এপ্রিল আভাস পাওয়া গেছে, চলতি মাসেই মুক্তি পাবেন জিম্মি নাবিকরা। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সেদিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এপ্রিলের মধ্যেই নাবিকদের মুক্তি মিলবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এটা কোনও ছোট ঘটনা না, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব না। সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করি এপ্রিলের মধ্যেই আমরা নাবিকদের সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।”

তবে জাহাজ থেকে পাঠানো ছবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ। নাবিকদের এক স্বজন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ভাইকে ফেরানোর বিষয়ে আমরা ইতিবাচক কিছু পেতে যাচ্ছি। যদিও কখন আমরা জানি না। ছবি পাঠিয়ে তিনি আমাদের টেনশন না করতে বলেছেন। গত এক মাসে এই প্রথম একটি ছবি দেখে আমাদের প্রাণ ফিরেছে।”

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মির পর জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। তারও ৮ দিন পর ২০ মার্চ দস্যুদের পক্ষ থেকে জাহাজ মালিক এস আর শিপিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাবিকদের পরিবারের উৎকণ্ঠা কিছুটা কমে। তাদের মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে স্বজনরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত