সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের সুস্থভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে স্থানীয় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারের ব্যাপারে সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। জাহাজ এবং নাবিকদেরকে সুস্থভাবে মুক্ত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
তবে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছি সেটি বলতে চাই না, কারণ এটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয় নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ দুটিই মুক্ত করা।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ কয়েক বছর আগে ২০১০ সালে হাইজ্যাক হয়েছিল। সেটিকে মুক্ত করতে ১০০দিন সময় লেগেছিল। আমাদের প্রচেষ্টার কোনও কমতি নেই। নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, আশা করছি অতীতের মতো এবারও সুষ্ঠুভাবে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।”
বাসস জানিয়েছে, মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলার কারণে আবারও ১৪৯ জন বিজিপি সৈন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এরই মধ্যে মিয়ানমারের এ ধরনের কিছু নাগরিক এদেশে এসেছিল। মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদেরকে যেভাবে ফেরত পাঠিয়েছি এবারও তাদেরকে একই প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করছি।”