৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে মুক্তি দিয়েছে সোমালি জলদস্যুরা। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
জলদস্যু আবদিরাশিদ ইউসুফ রয়টার্সকে বলেন, “দুই রাত আগেই আমাদের কাছে অর্থ আসে। এরপর আমরা পরীক্ষা করে দেখি যে সেগুলো আসল না নকল। এরপর আমরা ওই অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিই এবং জাহাজ ত্যাগ করি।”
এমভি আবদুল্লাহসহ এর নাবিকদের মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী একটি বাল্ক ক্যারিয়ার। এটি এক ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজ। মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে এটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।
সোমালিয়া উপকূলের দীর্ঘ জলরাশিজুড়ে ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নানা ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছিল জলদস্যুরা। এরপর কয়েকবছর শান্ত থাকার পর গতবছর থেকে আবারও স্বরূপে ফিরতে শুরু করে তারা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে মুক্তিপণের অর্থের বিষয়টি জানানো হলেও জাহাজ মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ, ইন্স্যুরেন্স কম্পানি এবং মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেউ কোনও মন্তব্য করেনি।
কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত রবিবার সকালে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে নাবিকরা ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আরব আমিরাতের বন্দরে পৌঁছার পর সেখান থেকে নাবিকরা যে যার গন্তব্যে রওনা দেবে। নাবিকরা সবাই নিরাপদ এবং অক্ষত আছেন।”
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, মুক্তিপণের ডলার নিয়ে সোমালিয়া উপকূলবর্তী গদবিরাজ এলাকায় গিয়ে ছোট একটি উড়োজাহাজ থেকে বাক্সভর্তি ডলার সাগরে ফেলা হয়। ওয়াটার প্রুফ অন্তত তিনটি বাক্সে ডলারগুলো ছিল। ডলার গুনে নিশ্চিত হওয়ার পর সোমালিয়ার দস্যুরা এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ থেকে নেমে যায়। এর পরেই জাহাজটি জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রওনা দেয়।