সোমালি জলদস্যুরা ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ছিনতাইয়ের পর ইতোমধ্যে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার বিষয়টি এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ এস আর শিপিং স্বীকার করলেও মুক্তিপণ নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
এক যুগের বেশি সময় আগে বাংলাদেশি এই কোম্পানিরই আরেকটি জাহাজ ‘জাহান মনি’ও পড়েছিল সোমালি জলদস্যুদের কবলে। তখন মুক্তিপণ দিয়ে ৯৯ দিন পর জাহাজটি ছাড়িয়ে আনা হলেও কত টাকা টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছিল, এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি তাও।
এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ মুক্তিপণের অঙ্ক সম্পর্কে তথ্য দিতে না চাইলেও সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে সম্প্রতি উদ্ধার পাওয়া জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ ছিনতাইয়ের পর জলদস্যুরা কত মুক্তিপণ চেয়েছিল, জানা গেছে সে তথ্য।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ ছিনতাইয়ের পর মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০০ কোটি রুপি মুক্তিপণ চেয়েছিল সোমালি জলদস্যুরা।
ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে রবিবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এমন তথ্য।
গত ১৫ মার্চ সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দর থেকে প্রায় ২৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে সাগরে অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের কবল থেকে ‘এমভি রুয়েন’ জাহাজটি ও এর ১৭ নাবিককে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। সেই অভিযানে আটক হয় ৩৫ সোমালি জলদস্যু।
শনিবার সেই জলদস্যুদের ভারতের মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের নৌবাহিনী।
এরপর মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ নাবিকসহ বাণিজ্যিক পরিবহন জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ ছিনতাইয়ের পর জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০০ কোটি রুপি মুক্তিপণ দাবি করেছিল।
তবে মুক্তিপণ আদায়ের আগেই ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস কলকাতা অভিযান চালিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার এবং জলদস্যুদের আটক করে।