Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

এমভি আবদুল্লাহকে উপকূলের আরও কাছে নিয়ে গেছে দস্যুরা

জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর গতিপথ।
জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর গতিপথ।
[publishpress_authors_box]

সোমালিয়াল দস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’কে উপকূলের আরও কাছাকাছি নিয়ে নোঙর করা হয়েছে। জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূল থেকে মাত্র চার মাইল দূরে সাগরে অবস্থান করছে। অর্থ্যাৎ দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাতেই আছে জাহাজটি।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে সাগরে জাহাজটি নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে নোঙর করে রাখে। শুক্রবার জাহাজটি আবারও নোঙর তুলে উপকূলের আরও কাছাকাছি এলাকায় নিয়ে যায় দস্যুরা।

জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের আরও কাছাকাছি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আপনি দেখবেন ইন্ডিয়ান নেভির যুদ্ধজাহাজ জিম্মি জাহাজের আশপাশে টহল দিচ্ছে। কয়েকবার উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছে। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টার একটি জাহাজও নজরদারি করেছে।

“আশপাশে জাহাজ মোতায়েন থাকাটা সেই দস্যুদের ওপর এক ধরনের থ্রেট। এজন্য আরও বেশি নিজেদের কবজায় নিয়ে জাহাজে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতেই দস্যুরা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি একেবারে উপকূলের কাছাকাছি নিয়ে গেছে।”

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

ভাড়ায় চলা জাহাজটিকে জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যায় দস্যুরা।

এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের পক্ষ থেকে তাদের পরিবার বা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও খবর মেলেনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার নাবিকদের মধ্যে কয়েকজন তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে জাহাজের সবশেষ অবস্থা বর্ণনা করেন। তারা মেসেজে জানান, জাহাজের নাবিকরা সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। জাহাজের কেবিনেই তারা থাকছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত