Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়া উপকূলে ভেড়াচ্ছে জলদস্যুরা

জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর গতিপথ।
জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর গতিপথ।
Picture of বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজটি এখন সোমালিয়ার দিকে এগোচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ এটি উপকূলে ভিড়বে বলে এর গতি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো।

সংস্থাটির বরাতে নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বেলা ১১টায় জাহাজটি গারাকাদ উপকূল থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছিল। যে গতিতে চলছে, তাতে আশা করা হচ্ছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাহাজটি উপকূলে পৌঁছবে।”

সাগর তীরের গারাকাদ অঞ্চলটি সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে কাছে। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে একটি সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে।

গারাকাদ সোমালি দস্যুদের একটি বড় দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর অতিক্রমের সময় সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে। দস্যুরা জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করে এ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

বুধবার জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২৭৫ নটিক্যাল মাইল দুরত্বে অবস্থান করছিল। প্রথমে জাহাজটির গতি ছিল ১২ নটিক্যাল মাইল। দস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এর গতি বাড়িয়ে দিয়েছে।

গত এক দশকে কমলেও গত কয়েক মাসে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা আবার বেড়েছে। এ দস্যুরা বাণিজ্যক জাহাজ ছিনতাই করে সোমালিয়া উপকূলে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে ভেড়ায়। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজ ও নাবিকদের ছাড়ে।

দস্যুরা নিজেদের দলনেতার কাছে জাহাজটি হস্তান্তর করার পরই মুলত মুক্তিপণ বা তারা কী চায়, তা নিয়ে দেন-দরবার শুরু করতে পারে। তারা কী দাবি জানায়, তার অপেক্ষায় এখন উৎকণ্ঠা নিয়ে প্রহর গুনছেন জাহাজে আটকে থাকা ২৩ নাবিকের পরিবার ও স্বজনরা।
জাহাজটি থেকে ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও নানা মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে জাহাজের মালিক পক্ষ এস আর শিপিং।

স্যাটেলাইট ফোনে রাখা যোগাযোগে ২৩ নাবিকের সবাই নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তবে মুক্তিপণ বা দাবির বিষয়ে দস্যুরা এখনও যোগাযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

একদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ঢাকায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

এর আগে ২০১০ সালে কবির গ্রুপেরই আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মনি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয় তাদের।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত