বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে বাংলাদেশে প্রবেশ করা মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর তিন সদস্যকে শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি জানান, নতুন করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন মিয়ানমার সেনা বাহিনীর মেজর, ক্যাপ্টেন ও সার্জেন্ট র্যাংকের তিন কর্মকর্তা। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ভোরে বান্দরবানের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন মিয়ানমারের তিন সেনা সদস্য। তাদের সম্পর্র্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এই তিনজনসহ বাংলাদেশে আগে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সকল সামরিক সদস্যকে খুব শিগগিরই নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে।”
এসময় কুইন্স এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক উইন রোজারিওর বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল।
তিনি বলেন, “পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রতীয়মান হয়েছে যে, পুলিশের গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। এট অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুলিশের ‘ওভার-রিঅ্যাকশন’ বা দোষ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করি।”
সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে মুক্ত করার জন্য যোগাযোগ চলছে বলে আরেক প্রশ্নের জবাবে জানান হাছান মাহমুদ। বলেন, “বাংলাদেশি নাবিকরা সবাই কেবিনে আছেন, ভালো আছেন, তাদের ওপর জলদস্যুরা কোন নির্যাতন করছে না।”