Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

বিজিপিসহ মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিককে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

বিজিবির কড়া পাহারায় বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের নাগরিকদের  কক্সবাজারের ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে আনা হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বিজিবির কড়া পাহারায় বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের নাগরিকদের কক্সবাজারের ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে আনা হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যসহ দেশটির ৩৩০ জন নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে তাদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাদের নিতে সকালে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় এসে গভীর সাগরে অবস্থান নিয়েছে। বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওই জাহাজে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বিজিবি জানায়, ফেরত পাঠানোর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের বিজিবির কড়া পাহারায় কক্সবাজারের ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে আনা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার বিষয়ক পরিচালক মো. রাকিবুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে উপস্থিত আছেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুইজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক। তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ইউ অং কিয়াও মোয়ে জেটিঘাটে উপস্থিত রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, সকালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জাহাজে করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মিও থুরা নউংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিজিপি প্রতিনিধিদলও কক্সবাজারের ইনানীতে নৌবাহিনীর জেটিঘাটে এসেছেন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকেরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে।

বাংলাদেশে ঢুকে পড়া বিজিপি ও সেনা সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়। পাশাপাশি তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত