মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে আহত হয়েছেন বাংলাদেশের আরও এক নাগরিক। এর আগে সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে আহত হন চারজন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে আহত বাংলাদেশির নাম মো. সৈয়দ আলম (৩৫)। তিনি তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড়পাড়ার বাসিন্দা কাদের হোসেনের ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, “সৈয়দ আলম উত্তর ঘুমধুম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথে মিয়ানমার থেকে আসা একটি গুলি একটি গাছে লেগে তার কপাল ঘেঁষে চলে যায়। আহত সৈয়দ আলমকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের গুলি বর্ষণ, মর্টার শেলসহ বিস্ফোরণের শব্দ মঙ্গলবার আরও বেড়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন এবং টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় এমন শব্দ শোনা যাচ্ছে। থেকে থেকে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী এলাকা।
এমন পরিস্থিতিতে অনেকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্ত এলাকার বসতভিটাও ছাড়ছেন অনেকে। তাদের একজন মঙ্গলবার আহত সৈয়দ আলম।
সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর লড়াইয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই অস্থির মিয়ানমার। কয়েকটি রাজ্যে বিদ্রোহীদের কাছে পরাস্ত হচ্ছে সরকারি বাহিনী।
বাংলাদেশ লাগোয়া রাখাইন প্রদেশে সংঘাত কিছুদিন আগে তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাতে বাংলাদেশের ভেতরে বুলেট-গোলা এসে পড়ছে।
সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ভূখণ্ড থেকে আসা মর্টারের গোলার আঘাতে স্থানীয় এক নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন।