মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ১৮ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এনিয়ে গত ৩ দিনে মোট ৩৪ জন পালিয়ে এপারে এসেছে।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালের দিকে নতুন করে ১২ জন ও দুপুরে ১ জন এপারে পালিয়ে আসে। এর মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন, বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১ জন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করে। সর্বশেষ এদিন বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৫ জন প্রবেশ করে।
এই ১৮ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর কত জন সদস্য তা বলা যাচ্ছে না। অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। তারা বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ১১ বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। তার আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ জন সদস্য। ৩ দিনে নতুন করে আসা ৩৪ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রয়েছে।
এছাড়া সেখানে আগে থেকে আরও ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। সবমিলে এখন ১১ বিজিবির হেফাজতে আছে মোট ২১৪ জন।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন মোট ৩৩০ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।