Beta
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

মিয়ানমারে সংঘাত এখন মংডুর দিকে, আতঙ্ক কমেছে সীমান্তে

সীমান্ত এলাকায় সতর্ক রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা। ফাইল ছবি/সকাল সন্ধ্যা
সীমান্ত এলাকায় সতর্ক রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা। ফাইল ছবি/সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সরকারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের রেশ বাংলাদেশ সীমান্তে কমে এসেছে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত এলাকা থেকে গত সোমবার সন্ধ্যার পর আর গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। এতে টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত লোকজনের মাঝে আতঙ্ক অনেকটাই কমে এসেছে।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের উত্তর দিকের সীমান্তেও গত ৮-৯ দিন ধরে বড় ধরনের কোনও বিস্ফোরণ বা সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতিও শান্ত রয়েছে।

টেকনাফ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) বেশির ভাগ চৌকি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। তারা এখন মংডু শহরের দিকে এগোচ্ছে। এ কারণে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরকান আর্মির সংঘাতও এখন সেদিকে সরে গেছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলি কমে এসেছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ওপারের সংঘাতময় পরিস্থিতি প্রভাব ফেলেছিল এপারের বাসিন্দাদের জীবনে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতির সকাল ১০টা পর্যন্ত গোলাগুলি বা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়নি।

সাবরাং নয়াপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আলম ও শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়ার আবদুল জলিল বলেন, গত কয়েকদিন টেকনাফ সীমান্তের মানুষের ঘুম ভেঙেছে বিকট শব্দে। ওপারের বিস্ফোরণে এপারের মাটি কেঁপে উঠেছে। গত তিন রাত শান্তিতে ঘুমিয়েছে লোকজন।

এদিকে মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় নাফ নদী এলাকায় টহল জোরদার করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। তাদের নিয়মিত টহল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া স্থলে পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি চারটি বিশেষ দল কাজ করছে। কেউ যাতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ সময়ে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত