Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধে বাণিজ্য আটকালেও ইয়াবা আটকাচ্ছে না

এক লাখ ইয়াবাসহ মো. উসমান নামে (৩৪) একজনকে আটক করেছে বিজিবি।
এক লাখ ইয়াবাসহ মো. উসমান নামে (৩৪) একজনকে আটক করেছে বিজিবি।
[publishpress_authors_box]

মিয়ানমারে চলছে গৃহযুদ্ধ, সেই কারণে নাফ নদী পথে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার জোগাড়। কিন্তু তার মধ্যেও ইয়াবাসহ অন্য মাদক আসা কমছে না।

গত এক মাসে ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯০০টি ইয়াবা এবং দেড় কেজি ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ। এসব ঘটনায় আটক করা হয়েছে ১৫ মাদক পাচারকারীকে।

গত শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাঁটাবুনিয়া এলাকা থেকে ১ লাখ ইয়াবাসহ মো. উসমান নামে (৩৪) একজনকে আটক করে বিজিবি।

বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, দুটি প্লাস্টিকের ব্যাগে থাকা ১ লাখ ইয়াবাসহ উসমানকে আটক করে মামলা দিয়ে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়।

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ১ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ইয়াবা, ৬ ফেব্রুয়ারি ৬৪ হাজার ৬০০, ৯ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ইয়াবা ও দেড় কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ১২ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ইয়াবা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ৬০ হাজার ইয়াবা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় ৫ জনকে আটক করা হয়।

অন্যদিকে টেকনাফ থানার তথ্য মতে, পুলিশ গত ৭ ফেব্রুয়ারি ১৫ হাজার ইয়াবাসহ ১ জন, ২১ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ১৮ হাজার ইয়বাসহ ২ জন, ২২ ফেব্রুয়ারি ৩০০ ইয়াবাসহ ৫ জন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করেছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে নানা কৌশলে দীর্ঘদিন ধরেই ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ পাচার হচ্ছে। এনিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।

বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মদদ রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির পৃষ্ঠপোষকতায় ইয়াবাসহ অন্য মাদক পাচার হচ্ছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তুমুল লড়াই চলছে।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিজিপির একাধিক ঘাঁটি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। কিন্তু এরপরেও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।

সীমান্তের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও বিজিপির পৃষ্ঠপোষকতায় মাদকের গডফাদাররা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করত ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ।

“এখন আরাকান আর্মিও কি সিন্ডিকেট করে সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচার করছে? তা না হলে সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার বন্ধ হচ্ছে না কেন?”

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, “এখন মাদকের নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। সীমান্তের এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মির ভূমিকা পরিষ্কার না। এখন মাদকের চালান প্রবেশ অনেক বেশি চিন্তার।”

যদিও টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলছেন, মাদক পাচার প্রতিরোধে পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড সবাই সতর্ক রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত