মিয়ানমারের কাচিনে গত চার মাসে জান্তা সরকারের দুই শতাধিক ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
প্রদেশটির জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) মুখপাত্রা কর্নেল নাও বু এই দাবি করেছেন।
দ্য ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেআইএ ও এর মিত্ররা গত ৭ মার্চ ভামো-মিটকিনা সড়ক বরাবর ১০টি জান্তা আউটপোস্টে হামলা করে।
১ এপ্রিল বিদ্রোহীরা সিনলুম বাম নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল করে নেয়। এই ঘাঁটি থেকেই গত ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ভামো ও লুগেলের মধ্যকার ৬০ কিলোমিটার সড়ক নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল জান্তা। এই ঘাঁটি থেকেই জান্তা কেআইএ নিয়ন্ত্রিত মিয়া জা ইয়াং শহরে গোলা হামলা চালাত।
৮ এপ্রিল কেআইএ চীন সীমান্ত বরাবর পাঁচটি বাণিজ্যিক শহরের একটি লুগেল দখল করে।
২২ এপ্রিল তারা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর মোমাউকে হামলা করে।
কর্নেল নাও বু দ্য ইরাবতীকে বলেন, “বিদ্রোহীদের দখলে আসা ২০০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটির মধ্যে ১০টি ঘাঁটি কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলোও এখন কেআইএর দখলে।”
তিনি বলেন, “সিনুলম বাম, লুগেল, ম্যানওয়েইনগি, সুম্প্রাবোম, মায়ো থিট কোনে, নামবি, তার সাই, কোন ল এবং সিন খান এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলো এখন আমাদের হাতে।”
মে মাসের শুরুতে কেআইএ ও এর মিত্ররা মোমাউক, ওয়াইংমো ও মিটকিনা এবং মানসি, সুম্প্রাবোম ও তানাই শহরাঞ্চলের সড়ক বরাবর জান্তার ৮০টি ঘাঁটি দখল করে। এর মধ্যে ১১টি ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তর রয়েছে।
মে মাসের মধ্যেই ডথপোনেয়ান, লুগেল, শিনবো ও সুম্প্রাবোম শহরগুলো বিদ্রোহীদের দখলে আসে।
কর্নেল নাও বু বলেন, “মিটকিনা-পুয়াতো রুট নিয়ন্ত্রণে সুম্প্রাবোম শহরটি গুরুত্বপূর্ণ।”
কেইআএ বর্তমানে মোমাউক শহরের লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়ন ৪৩৭ এর সদর দপ্তর দখলের জন্য লড়ছে। এটি প্রদেশের রাজধানী মিটকিনা ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ভামোর মধ্যে সংযোগস্থলে অবস্থিত।
এটি মোমাউকে জান্তার নিয়ন্ত্রণে থাকা সর্বশেষ ঘাঁটি। সেখানে এখন জান্তার বিমান হামলা চলছে।