Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

জান্তার শান্তি প্রস্তাব কেন প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ছবি: রয়টার্স।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ছবি: রয়টার্স।
[publishpress_authors_box]

সাড়ে তিন বছর আগে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে।

প্রস্তাবে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধরত অংসান সু চির দলসহ জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ত্যাগ করে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে সেনা সরকার।

পাশাপাশি দলীয় রাজনীতির মাধ্যমে দেশের সংকট নিরসনের কথা বলে আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

সেনা সরকারের প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো তাদের অস্ত্র ত্যাগ করে রাজনৈতিক দল গঠন করবে এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

প্রথমে গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে রাত ৮টার খবর প্রচারের সময় জান্তার প্রস্তাবটি তুলে ধরা হয়। এরপর শুক্রবার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারেও এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সেনা সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, “রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং পিডিএফ সন্ত্রাসবাদীদেরকে দলীয় রাজনীতি বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যাতে তারা সশস্ত্র সন্ত্রাসী পথ ত্যাগ করে টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের ওপর জোর দিতে জনগণের সঙ্গে হাত মেলাতে সক্ষম হয়।”

কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরতদের গঠিত জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, জান্তার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার যোগ্য নয়। জান্তা সরকারের নির্বাচন করার কোনও এখতিয়ার নেই বলেও জানিয়েছে এনইউজি।

এতোদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার জন্য জান্তাকে আহ্বান জানিয়ে আসছিল। কিন্তু জান্তা সেই আহ্বান ধারাবাহিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

এবার তারা নিজেরাই আলোচনার প্রস্তাব দিলেও বিদ্রোহীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী বাহিনী এবং জাতিগত সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা দ্রুত এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

জান্তা এমন এক সময়ে এই প্রস্তাব দিয়েছে যখন বিদ্রোহীদের জোট দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় দখলের কাছাকাছি রয়েছে। সেটা হবে তাদের জন্য বড় জয়।

বিদ্রোহীরা এখন মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এবং পার্বত্য অঞ্চলগুলোর বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে, সামরিক বাহিনী মধ্যাঞ্চলের ইরাবতী উপত্যকার প্রধান শহর ও নিম্নভূমির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।

গত মে মাসের শেষদিকে স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার (এসএসি-এম) ও ক্রাইসিস গ্রুপ (অলাভজনক সংস্থা) নামের দুই সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়, দেশটির ৮৬ শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।

এসএসি-এম হলো একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সংস্থা। মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্য নিয়ে সংস্থাটির সূচনা হয়।

সংস্থাটি বলেছে, মিয়ানমারের ৮৬ শতাংশ এলাকায় কার্যত জান্তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এসব এলাকায় দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশের বসবাস। ফলে এক অর্থে বিদ্রোহীরাই এখন দেশটি শাসন করছে।

গত বছরের অক্টোবরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো একজোট হয়ে হামলা শুরুর পর থেকেই মিয়ানমারের একের পর এক অঞ্চল জান্তার হাতছাড়া হতে থাকে।

ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের ভূখণ্ডের অর্ধেকেরও কম অংশের নিয়ন্ত্রণ এখন জান্তা বাহিনীর হাতে আছে। ফলে দেশটির সামরিক সরকার এখন লড়াই শেষ করার জন্য প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়েছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী বাহিনীগুলো একযোগে হামলা শুরু করে জান্তার বিরুদ্ধে।

উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে চীনের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতিও ভেঙে পড়েছে। জুন মাস থেকে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনীর জোট থ্রি ব্রাদারাহুড অ্যালায়েন্স নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছে।

মিয়ানমারের অস্থিরতা চীনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন দেশটির বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং এর সঙ্গে তাদের তাদের বিশাল সীমান্ত রয়েছে।

চীন সরকার জান্তার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করলেও উত্তর মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও আলোচনায় বসেছে।

আগস্টে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিয়ানমার সফর করে দেশটির সেনা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে রাজনৈতিক পুনর্মিলন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আহ্বান জানান।

জান্তা চীনকে বলেছে, তারা ২০২৫ সালে নির্বাচন করবে, কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এবং মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে না যে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

গত জুনে চীনে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সঙ্গে এক বৈঠকের সময় ওয়াং বলেছিলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন করাই যথেষ্ট নয়। চীন সফরে থেইন সেইনের সঙ্গে থাকা একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে একথা জানান।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ওয়াং ই মিয়ানমারের সেনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত বেসামরিক নেতা অং সান সু চির সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানিয়েছেন। সু চি কারাদণ্ড ভোগ করছেন এমন সব অভিযোগে যেগুলোকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছে।

ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস-এর মিয়ানমার প্রোগ্রামের ভিজিটিং সিনিয়র বিশেষজ্ঞ ইয়ে মিও হেইন ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, “সংলাপে বসার জন্য বিদ্রোহীদের প্রতি মিয়ানমারের সেনা সরকারের এই আহ্বানের উদ্দেশ্য হল চীনকে সন্তুষ্ট করা।”

মিয়ানমারের অন্যতম প্রভাবশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের মুখপাত্র পাদোহ সাও তাও নি বলেছেন, “আমাদেরকে বারবার একই পুরোনো জীর্ণ রেকর্ড দেখানো বন্ধ করুন। এটা সময়ের অপচয়।”

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কয়েক দশক ধরে লড়ে আসা বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) বলেছে, সামরিক বাহিনী কয়েকটি সাধারণ রাজনৈতিক দাবি মানতে রাজি হলে তবেই আলোচনা হতে পারে।

তাদের দাবিগুলো হল, ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কোনোরকম অংশগ্রহণ থাকা যাবে না। একটি ফেডারেল রাষ্ট্র গঠনের জন্য নতুন একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নে রাজি হতে হবে। আর সামরিক বাহিনী এ পর্যন্ত যা যা করেছে তার সবকিছুর জবাবদিহি তাদেরকে করতে হব। যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জবাব দিতে হবে। এ বিষয়ে কোনও ছাড় তারা পাবে না।

মান্দালয় পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের কমান্ডার সোয়ে থু ইয়া জাও ফেইসবুক এক পোস্টে লিখেছেন, তিনি মনে করেন জান্তার সমঝোতার প্রস্তাবটি প্রতারণামূলক।

তিনি বলেন, “এটা ছাগলের মাথা ঝুলিয়ে রেখে কুকুরের মাংস বিক্রি করার মতো।”

মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু জাতি বামারদের বিদ্রোহী গোষ্ঠী বামার পিপলস লিবারেশন আর্মিও বলেছে, জান্তার সঙ্গে শান্তি সংলাপে বসতে তারা আগ্রহী নয়।

মানবাধিকার সংগঠন প্রগ্রেসিভ ভয়েস এক বিবৃতিতে বলেছে, “একটা বিষয় পরিষ্কার- জান্তা পতনের দ্বারপ্রান্তে ছটফট করছে। তাই তারা একটি জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিজেদের জন্য মিথ্যা বৈধতা আদায় করতে চায়।

“এটি তাদের প্রতারণামূলক গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য একটি মরিয়া চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে ধুলা দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য।”

বার্মা ক্যাম্পেইন এর যুক্তরাজ্য পরিচালক মার্ক ফারমানার এক্সে লিখেছেন, “সেনাবাহিনী হয়তো ভেবেছে, বর্তমান প্রজন্মের কূটনীতিকরা বুঝতে পারবে না যে এটি তাদের কয়েক দশকের পুরোনো কৌশল থেকে এসেছে এবং এর মধ্য দিয়ে প্রকৃত পক্ষে কোনও পরিবর্তন আসবে না।”

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ হিসেবে খ্যাত মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত। ৭৬ বছর আগে স্বাধীনতার পর থেকেই গৃহযুদ্ধ চলছে দেশটিতে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রপন্থী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারকে শাসন করছে দেশটির সেনাবাহিনী।

অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির দল এনএলডির সরকারের সমর্থকরা অহিংস বিক্ষোভ শুরু করেছিল। তবে সেনাবাহিনী দমনপীড়ন শুরু করলে কয়েক মাসের মধ্যেই সেই বিক্ষোভ সশস্ত্র বিদ্রোহে রূপ নেয়, যা গড়ায় গৃহযুদ্ধে।

ক্ষমতাচ্যুত এনএলডি নেতারা ২০২১ সালের এপ্রিলে সামরিক শাসনবিরোধী শক্তিগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) গঠন করে। এক মাস পরেই এই সরকারের সশস্ত্র সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) গঠন করা হয়।

এরপর সেপ্টেম্বরে পিডিএফ জান্তার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবের ডাক দেয়। এরপর থেকেই তীব্র গৃহযুদ্ধ চলছে দেশটিতে।

সেনাশাসনবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোও পিডিএফের ডাকে নতুন করে যুদ্ধে নামে।

জাতিসংঘের হিসাব মতে, গত তিন বছরের গৃহযুদ্ধে দেশটিতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার এক দশক পর থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাজনীতিতে প্রবেশ করে। ১৯৬২ সালে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটিতে সরাসরি ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে বিভিন্ন উপায়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে দেশটিতে সেনাশাসন চলছে।

১৯৮০-র দশকের শেষদিকে মিয়ানমারের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা জেনারেল অং সানের কন্যা অং সান সু চি দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই শুরু করেন। ১৯৯০ সালে সামরিক জান্তা প্রথম নির্বাচনের আয়োজন করে।

সেই নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) জয় পায়। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনের ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সু চিকে গৃহবন্দি করে এবং আরও ২০ বছর দেশটি শাসন করে।

সু চিকে বন্দি করা হলেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম চলতে থাকে। ২০১০ সালে জান্তা সু চিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় এবং সে বছরের শেষ দিকে নির্বাচনের আয়োজন করে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২০১১ সালে একটি আধা-সামরিক ধরনের সরকার মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

তবে সরাসরি সামরিক শাসনের অবসান ঘটলেও দেশটির ক্ষমতার কলকাঠি সেনাবাহিনীর হাতেই থেকে যায়। ফলে টানাপোড়েন অব্যাহত থাকে। ২০১৫ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনেও অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিশাল বিজয় পায়। এতে সামরিক জান্তা ও জান্তাবিরোধীদের মধ্যে সমঝোতার মধ্য দিয়ে দেশটিতে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

কিন্তু ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা এবং জাতিগত নিধনযজ্ঞের মতো বিভিন্ন ঘটনায় সেই প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ফের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে।

এনএলডির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত এবং অং সান সু চিকেও আটক করা হয়। এরপর দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে সু চিকে ৩৩ বছর কারাদণ্ড দেয় জান্তা। তবে এবার সবাই মিলে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। বিদ্রোহীদের ঐক্যবদ্ধ হামলার মুখে পতনের পথে রয়েছে জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সরকার।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, ব্যাংকক পোস্ট

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত