মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর ঘিরে রবিবার দিনভর দেখা গেছে বিমানের চক্কর। মংডু থেকে এসময় টানা বিস্ফোরণের শব্দ এসেছে কক্সবাজারের টেকনাফে।
টেকনাফের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টা পর থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ আসেনি। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওপারের আকাশে বিমান চক্কর দিতে দেখা যায়। এসময় বিকট সব বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে টেকনাফে।
সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আরও জানান, বিদ্রোহীরা মংডু শহরের কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে। সেসব এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারে জান্তা বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্যই তারা বিমান হামলা চালাচ্ছে। তার বিকট শব্দ আসছে এপারে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, শনিবার রাতেও তেমন কোনও বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। রবিবার সকাল থেকে আট ঘণ্টায় দেড় শতাধিক মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ এসেছে।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, সীমান্তের ওপারের আকাশে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিমান উড়তে দেখেছেন স্থানীয়রা। সহিংসতার কারণে নতুন করে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, সাড়ে তিন মাস ধরে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দুটি শহরসহ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি চৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, বিমান যোগে এসব বোমা হামলা চালানো হয়েছে। শব্দগুলো বিকট ও ভয়ঙ্কর। কেঁপে ওঠে টেকনাফ সীমান্তের বাড়ি-ঘর।