বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার। একইসঙ্গে সেদেশে আটকে পড়া ১৫০ বাংলাদেশিকেও ফেরত দেবে তারা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি’র মহাপরিচালক একুশে পদকে ভূষিত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ গ্রন্থিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে মিয়ানমারের জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার আগামী ২২ এপ্রিল জাহাজযোগে তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে এবং মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশি একই জাহাজে ফেরত আসবে। তবে জাহাজের যাত্রা সমুদ্র ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্য। সর্বশেষ শুক্রবার দুই দফায় ২৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
আগে থেকেই বাংলাদেশে বিজিবির আশ্রয়ে ছিল মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ২৬১ সদস্য। সবমিলিয়ে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্য মিলে ২৮৫ জন এখন বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনে আশ্রয়ে রয়েছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল ৩৩০ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। বাসস।