ময়মনসিংহের ত্রিশালে মাটিতে পুঁতে রাখা তিনটি লাশ উদ্ধারের পর এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। জানানো হয়েছে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যার পর লাশ তিনটি গুম করতে মাটিতে পুঁতে রেখেছিলেন।
আলী হোসেন নামে ওই ব্যক্তিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাকে ধরতে পারলে এই ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে, বলেছেন ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন।
ত্রিশালের রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে আলী হোসেন। তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০) এবং দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাসের (২) লাশ মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়।
ধানক্ষেতে লাশের কিছু অংশ ছিঁড়ে শিয়াল-কুকুরে খাচ্ছে- স্থানীয়দের কাছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে পুঁতে রাখা দুই শিশু ও এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছিল।
তখন পরিচয় জানা যায়নি। পরে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে রাতে জানতে পারে, লাশ তিনটি হামিদের স্ত্রী ও ছেলেদের।
ত্রিশালেরই সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে আমেনার সঙ্গে ছয় বছর আগে আলী হোসেনের বিয়ে হয়।
গত বৃহস্পতিবার গার্মেন্টে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন আমেনা। এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
ওসি কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “নিহত নারী একটি বাড়িতে কাজ করত। কিন্তু বখাটে স্বামী গার্মেন্টে কাজে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে তাকে ও ছেলেদের হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখে।”
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং হামিদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।