দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে কেন্দ্র দখল করা নিয়ে সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার মারা গেছেন। তিনি ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিহত আব্দুল জলিল শেরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার বাবার নাম কুমেদ আলী।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি একটি মামলা হয়েছিল। সেটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হবে।
শেরপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, “৭ জানুয়ারি ভোটের দিন দুপুর ২টার দিকে ইমাম হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা চালায় সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের সমর্থকরা।
“নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালামের সমর্থকরা তাদের ফেরাতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন আব্দুল জলিল।”
গুরুতর আহত আব্দুল জলিলকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে ৭ জানুয়ারি রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন আহত আব্দুল জলিলকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তির ব্যবস্থা করেন বলে জানান হারুন অর রশিদ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
হামলা ও সংঘর্ষের অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের মোবাইল টেলিফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নান্দাইল থানার ওসি বলেন, “ভোটের দিন মারামারির ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি মামলা করেন আব্দুল জলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম। মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় ১২জন জামিনে আছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
সংঘর্ষে আহত আব্দুল জলিল মারা যাওয়ায় মারামারির ওই মামলাটি হত্যা মামলা হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আব্দুল জলিলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।