বিএনপি ভোটের মাঠে না থাকলেও ময়মনসিংহের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে নামেন তার দল আওয়ামী লীগেরই দুই নেতা। তবে সেই বাধা কাটিয়ে মেয়রের চেয়ারে থাকছেন তিনি।
শনিবার অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টিটু বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীও তার এক লাখ ভোট পেছনে।
বিএনপি না থাকায় দলীয় প্রতীকের এই নির্বাচনেও নির্দলীয় আমেজ তৈরি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকে কাউকে মনোনয়ন না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হন বিদায়ী মেয়র টিটু, যিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নামেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেসামুল আলম এবং শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল হক খান মিল্কী টজু। তারা ছাড়াও প্রার্থী হন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য রেজাউল হক।
দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে কেবল ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল।
দিনভর ১২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফল ঘোষণা করেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।
তােত দেখা যায়, হাতি প্রতীকে মিল্কী পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। আর ঘোড়া প্রতীকে এহতেসামুল পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট।
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ এখন টিটুর পরিবার এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তের পরিবারে বিভক্ত।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন টিটুর বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আমিনুল হক শামীম। সে থেকে নগরে দুই পরিবারের রাজনৈতিক বিরোধ বড় হচ্ছে।
তবে শান্তর পক্ষের এহতেসামুল ও মিল্কী দুজনে ভোটে দাঁড়ানোয় টিটু সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন। ভোটের ফলেও তাই দেখা গেল।