একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত থাকায় ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। স্থগিত থাকা ওই কেন্দ্রে ফের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১৩ জানুয়ারি।
সোমবার ঢাকার আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল একথা জানান।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মোট কেন্দ্র ৯২টি, এরমধ্যে ৯১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে সহনাটি ইউনিয়নের ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
১৩ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের পর ওই আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান সিইসি।
৯১টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ৫৩,১৯৬ ভোট, ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৫২,২১১ ভোট। এই ফলাফল অনুযায়ী, ৯৮৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছে নৌকা। স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে মোট ভোট ৩০৩১।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ কামাল চৌধুরী বলেন, ব্যবধানের চেয়ে স্থগিত কেন্দ্রের ভোট বেশি হওয়ায় এই আসনে কোনও প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিক বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি।
এই আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নাজনীন আলম পেয়েছেন ২২৫০ ভোট, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৩৪৯ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ১৫২ ভোট।
এছাড়া ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোর্শেদুজ্জামান সেলিম পেয়েছেন ১০০ ভোট, আম প্রতীকের এনপিপির শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১১৭ ভোট, কেটলি প্রতীক নিয়ে শরীফ হাসান পেয়েছেন ৯২২৬ ভোট এবং কাচি প্রতীক নিয়ে রমিজ উদ্দিন পেয়েছেন ৮৯৩ ভোট।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুরো ময়মনসিংহ-৩ আসনেই পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা। সোমবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ভোট শেষ হওয়ার আগে আমরাই তার বিরুদ্ধে তিন তিনটি লিখিত অভিযোগ করেছি। জনরায় না পেয়ে তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন।”
