Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রীর ‘৩৮ লাখ টাকা দামের বাহ্‌রকিন ব্যাগে’র রহস্য কী

hermes bag black showroom
[publishpress_authors_box]

ফ্রেঞ্চ উচ্চারণে লাক্সারি ব্র্র্যান্ডটির নাম দাঁড়ায় ‘এরমেস বাহ্‌রকিন’ বা এর কাছাকাছি। ইংরেজিতে বরং সহজ ‘এরমেস বারকিন’ (Hermès Birkin)। এরমেস বা হারমেস নামের এই অত্যধিক লাক্সারি ব্যান্ডটির ব্যাগ কোনও ধনী মানুষেরও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে অনেক সময়। কাজেই বিলাসী লাইফস্টাইলের খবর হিসেবে এর নাম শিরোনামে আসবে এ আর নতুন কী!

এর আগে এরমেস শিরোনাম হয়েছে নানা কারণে। এর মধ্যে বিচিত্র কারণও রয়েছে। যেমন- কখনও কোন ক্রেতা এই ব্র্যান্ডের ব্যাগ কিনতে না পেরে হতাশায় নিমজ্জিত মামলা ঠুকে দিয়েছেন। আবার কখনও আবার কিম কার্ডিশানের নতুন কালেকশন হিসেবেও এটি শিরোনাম হয়েছে। তবে এবার যে কারণে শিরোনাম হয়েছে, সেটির প্রেক্ষাপট রীতিমত ভিন্ন- ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ।

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের সদ্য নিহত হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের স্ত্রী-র বিলাসী বাহ্‌রকিন ব্যান্ডের ব্যাগ ব্যবহার করেন দাবি করে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সিনওয়ারই গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বলে মনে করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যাতে প্রায় এক হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এর পাশাপাশি হামাসের যোদ্ধারা জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় ২৫১ জনকে।

ইসরায়েলি বাহিনী ৭ অক্টোবরের আগের একটি ভিডিও ফুটেজ সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, হামলার ঠিক আগের রাতে সিনওয়ার তার স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে একটি টানেলে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছেন। সেখানেই সিনওয়ারের স্ত্রীর হাতে থাকা কালো ব্যাগটিকে এরমেস বাহ্‌রকিন ব্যান্ডের বলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র আভিচ্যায় আড্রেই এক এক্স পোস্টে দাবি করেছেন। সিনওয়ারের স্ত্রীর হাতের ওই ব্যাগটির দাম ৩২ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৩৬ থেকে ৩৮ লাখ টাকার সমমূল্যের।

টুইটে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র আদ্রেই আরবিতে যা লিখেন তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, “যেখানে মাথা গোঁজার জন্য গাজার মানুষের তাঁবু কিংবা জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণের অর্থই নেই, সেখানে ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও তার স্ত্রীর টাকার প্রতি বিশেষ ভালোবাসা দেখা যাচ্ছে।”

ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র আভিচ্যায় আড্রেই- এর দাবি কালো ব্যাগটি এরমেসের বাহ্‌রকিন ব্র্যান্ডের।

কিন্তু তারপরও কি এত আলোচনা হওয়ার কথা! রাজনৈতিক নেতা ও তার পরিবারের কেউ কেউ তো শৌখিন বা বিলাস পণ্য ব্যবহার করতেই পারে। উপহারও পাওয়া বিচিত্র নয়।

তবে এরমেস বাহ্‌রকিন ব্যান্ডের একটি ব্যাগের মালিকানা থাকা অবশ্যই যা-তা কথা নয়। কেননা, অনেক অর্থ থাকলেও এই ব্যাগ সবার কাছে বিক্রি নাও করতে পারে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এমনও হতে পারে যে, আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধনকুবের, কিন্তু এই ব্যান্ড আপনার কাছে ব্যাগ বিক্রি করছে না! এরমেসের বাহ্‌রকিন ব্র্যান্ডের ব্যাগ তো দূরের কথা, এমনকি এই কোম্পানির অন্যান্য ব্র্যান্ডের ব্যাগও কেবল এর দোকানে হেঁটে বাছাই করার পর দাম পরিশোধ করেই কিনতে পারা যায় না।

এরমেসের ব্যাগ কিনতে হলে ক্রেতার দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও (অলিখিত) প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এর পণ্যের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু বিপরীতে সবসময়ই কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রণমূলকভাবে জোগানে ঘাটতি রাখে। কিছুদিন আগেও এরমেস তার ব্র্যান্ডের ব্যাগ কিনতে ইচ্ছুক এমন ক্রেতাদের ‘ওয়েটিং লিস্ট’ বা ‘অপেক্ষা তালিকা’ প্রকাশ করতো। এখন সেটিও করে না। আবার এমনও দেখা গিয়েছে, ব্যাগ হয়তো স্টকেই আছে, আপনার কাছে পৃথিবীর সব অর্থ আছে, তবু আপনাকে এরমেস পণ্য বিক্রি করছে না। বিলাসের দুনিয়া রোলস রয়েস গাড়ি যেমন, ঠিক তেমনটাই এই ব্যাগ।

বাহ্‌রকিন ব্যাগের ক্রেতার স্ট্যাটাস পেতে হলে ধাপে ধাপে এগোতে হয়। এরমেসের সঙ্গে একটি সম্পর্কে জড়াতে হয়। এ সম্পর্ক গড়ে তোলার মানে ব্যাগের দামের সমপরিমাণ অর্থ খরচ করে এরমেস ব্র্যান্ডেরই অন্যান্য পণ্য কেনা।

বিলাসী পণ্যের বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেন, এরমেসের শোরুমের বিক্রয় কর্মী, ম্যানেজার অর্থাৎ এরমেস সেলস অ্যাসোসিয়েটস (এসএ) বলে পরিচিত যারা, তাদের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর ‘বাহ্‌রকিন’ এর মতো আকাঙ্ক্ষিত ব্র্যান্ডের ব্যাগ কেনা অনেকাংশে ভূমিকা রাখে। ক্রেতা ব্যাগ কেনার যোগ্য কিনা তা পরখের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এরা।

কেন এই ব্যাগ এত অভিজাত?
বাহ্‌রকিন ব্যাগ এমনি এমনি আজকের দুনিয়ার বিলাসী পণ্যের ক্রেতাদের কাছে এতটা আকাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠেনি। এর পেছনে রয়েছে যুক্তিযুক্ত কারণ। সূক্ষ্ণ কারুকাজ, কারিগরি দক্ষতার ছাপ এবং এর আইকনিক ইতিহাস এই ক্রয় আকাঙ্ক্ষার পেছনে ভূমিকা রাখছে।

ফ্রেঞ্চ ফ্যাশন ব্র্যান্ড এরমেসের জন্ম ১৮৩৭ সালে। পরিবার নিয়ন্ত্রিত এ ব্যবসাটি চামড়াজাত পণ্য এবং লাইফস্টাইল পণ্য তৈরি করে।

বাহ্‌রকিন ব্যান্ডের ব্যাগের জন্ম অবশ্য প্রায় দেড়শ বছর পরে, ১৯৮৪ সালে। এরমেসের সেই সময় সিইও ছিলেন জ্যঁ-লুই দ্যুমা। ওই বছরই এক ফ্লাইটে ব্রিটিশ-ফরাসি অভিনেত্রী ও গায়িকা জেন বাহ্‌রকিনের সঙ্গে বিমান ভ্রমণের সঙ্গে দ্যুমার ব্যাগ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আলোচনার শুরুটাও বেশ নাটকীয়। বাহ্‌রকিনের খড়ের তৈরি বাস্কেটের থেকে জিনিসপত্র বিমানের পাটাতনে পড়ে গিয়েছিল। সেটা তুলতে গিয়েই কথোপকথনের শুরু। বাহ্‌রকিন জানান, ভালো কোনও চামড়ার ব্যাগ খুঁজে পাননি তিনি।

যার নামে এই অভিজাত ব্যাগ, তিনিই বলছেন এটির গল্প।

এই কথোপকথনের ফল হিসেবে দ্যুমা পরে কালো কোমল চামড়ার ব্যাগ তার জন্য তৈরি করেন। মূল্যবান সেই ব্যাগটি দেখতে তো অভিজাত ছিলই, পাশাপাশি জেন বাহ্‌রকিনের সব প্রয়োজনীয় জিনিসও তাতে এঁটে যেত।

ধারাবাহিকভাবে, বছরের পর বছর মান বজায় রেখেই এক্সক্লুসিভিটি এবং সম্পদশালীর প্রতীক হিসেবে বাহ্‌রকিন ব্যাগ তার অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। অবশ্য আভিজাত্য ও ফ্যাশনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ‘ইট ব্যাগ’ ফেনোমেনা পর্যন্ত পৌঁছাতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সময় লেগেছে।

বাহ্‌রকিন ব্যাগের জনপ্রিয়তা শীর্ষে পৌঁছায় যখন জনপ্রিয় আমেরিকান টিভি সিরিজ ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ (১৯৯৮-২০০৪) এর দৃশ্যায়নে এটি দেখানো হয়। সিরিজে দেখানো হয়, মূল চরিত্রের একজন সামান্থা বাহ্‌রকিন ব্যাগ পেতে চেষ্টা করছে এবং তাকে সেই ব্যাগটি পেতে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ নারীর ক্ষমতায়ন, ভালোবাসা, এবং বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সিরিজ।

সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি সিরিজে বাহ্‌রকিন ব্যাগের দৃশ্য।

আইকনিক এ সিরিজের সামান্থা চরিত্রটি সোজাসাপ্টা কথা বলে, বিনোদনপ্রেমী, এবং নিজের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে ভীষণ নির্ভীক। সিরিজে প্রায়ই সে খোলামেলা প্রেম ও ফ্যাশন নিয়ে কথা বলে এবং ব্যয়বহুল ও বিলাসী জীবনধারা পছন্দ করে। এই সিরিজে সামান্থা চরিত্রের মাধ্যমে নারী স্বাধীনতা, আত্মবিশ্বাস, এবং নিজের ইচ্ছা প্রকাশের বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। সম্ভবত তুমুল জনপ্রিয় এ চরিত্রটি আরও আকাঙ্ক্ষিত করে তোলে বাহ্‌রকিন ব্যাগকে। বিশেষ করে সিরিজে তার মুখ দিয়ে বের হওয়া সংলাপ, ‘এটি ব্যাগ নয়, এটি বাহ্‌রকিন’- একে করে তোলে সময়ের অন্যতম আকাঙ্ক্ষিত বিলাসী পণ্য। লাখ টাকার ‘বাহ্‌রকিন’ ব্যাগ যেমন আছে, কোটি টাকারও রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশি ১২ লাখ টাকা থেকে এ ব্যাগের দাম শুরু। আর বাংলাদেশি টাকায় সবচেয়ে বেশি দামের ‘বাহ্‌রকিন’ ব্যাগের দাম ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার কাছাকাছি পড়বে।

বিশ্বের সবচেয়ে কয়েকটি কয়েকটি বাহ্‌রকিন’ ব্যাগের একটি তালিকা রয়েছে পৃথিবীর শিল্প ও সাহিত্য আভিজাত্যের সবচেয়ে বড় ব্রোকার বা নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সথেবির ওয়েবসাইটে।

ভারতে এই ব্র্যান্ডের গর্বিত ব্যবহারকারী নীতা আম্বানি। তার কালেকশনে রয়েছে বেশ কয়েকটি বহুমূল্যের বাহ্‌রকিন। যার মধ্যে হিমালয়া বাহ্‌রকিন এবং নেইজ স্নো ফ্রাউবার্গ বাহ্‌রকিন এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ভারতের ধনকুবের নিতা আম্বানির (ডানের জন) হাতে বাহ্‌রকিন ব্যাগ।

বাহ্‌রকিন ব্যাগ যেভাবে তৈরি হয়

একজন দক্ষ কারিগরের বাহ্‌রকিন ব্যাগ তৈরি করতে কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগে। ব্যাগের গায়ে কোড এবং তৈরির সময়কাল খোদাই করা থাকে। পাশাপাশি কোন কারখানায় তৈরি হয়েছে এবং কোন কারিগর বানিয়েছেন- সেসব ঠিঁকুজিও খোদাই করা থাকে।

ব্যাগ তৈরিতে প্রচলিত সহজলভ্য প্রাণীর চামড়ার বদলে সাধারণত অপ্রচলিত ও দুষ্পাপ্য চামড়া ব্যবহার করা হয়। যেমন- কুমির, অস্ট্রিচ বা এলিগেটরের চামড়া। সবচেয়ে ভাল ও দামি উপকরণ ব্যবহার করা হয় ব্যাগের আনুসঙ্গিক উপকরণ তৈরিতে।

ভোগ এর করা একটি প্রতিবেদন।

চামড়া বিশেষজ্ঞরা এরমেসের ব্যাগে ব্যবহৃত চামড়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ইউটিউবার ভলকান ইলমাজ তেমনই একজন। তিনি এরমেসের পণ্যে ব্যবহৃত চামড়ার মানের তুলনা করতে গিয়ে লাক্সারি ব্র্যান্ড লুই ভুইটোঁ বা প্রাদার থেকে ঢের এগিয়ে রেখেছেন।

তার ভাষায়, “আমি এরমেসের পণ্যের দারুণ ভক্ত। কেননা তারা এখনও প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত চামড়া সংগ্রহ করে এবং এসব চামড়া চমৎকার ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিচর্যা করে সেগুলোর প্রাকৃতিকতা ধরে রেখেই ফ্যাশনের কাজে লাগাচ্ছে। আমি মনে করি তাদের চামড়ার বাছাইকরণ অন্য বেশিরভাগের তুলনাতে খুবই ভালো। তারা এখনও সময়-ঘন টেকনিক, যেমন- স্যাডল স্টিচ ও হাতে বুননের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, যেটি অন্য ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে শোনা যায় না।”

হামাস নেতার স্ত্রী হাতের ব্যাগটি নিয়ে ধোঁয়াশা
বাহ্‌রকিন ব্র্যান্ডের পণ্য যারা সরাসরি এরমেস থেকে কিনতে পারেন না, তাদের জন্য সবসময়ই বিকল্প রাস্তা তো খোলাই আছে। তবে সেটি ‘রিসেল মার্কেট’। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে বিশ্বস্ত দোকানটি খুঁজে বের করা। বাহ্‌রকিন এর চাহিদা সবসময়ই বেশি। কাজেই প্রতারণা তো চলবেই। অনেকেই এই ব্যাগকে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ হিসেবেও মনে করেন। বেশ কিছু প্রতিবেদন বলছে, ‘বাহ্‌রকিন’ ব্যাগ সোনার চেয়েও লাভজনক! আর তাই সেকেন্ড হ্যান্ড ‘বাহ্‌রকিন’ কেনাটা খুব অপ্রচলিত ব্যাপার নয়।

এর মধ্যেই হয়তো উত্তর লুকিয়ে রয়েছে, এত প্রতিরোধ ও নিরাপত্তাজনিত সংকটের মধ্যেও কীভাবে প্রয়াত হামাস প্রধানের স্ত্রীর হাতে গাজায় এরমেস ব্র্যান্ডের একটি ব্যাগ পৌঁছাল। আবার এমনও হতে পারে, ব্যাগটি অন্য কোনও ব্র্যান্ডের। সোশাল মিডিয়ায় কোনও কোনও ফ্যাক্ট চেকার সেরকমটাই দাবি করছেন। এরকমই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ফ্যাক্ট চেকারদের দাবি, এটা ইয়াহিয়াকে বিতর্কিত করার একটি প্রচেষ্টা মাত্র। ইসরায়েল প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।

তবে এই ব্যাপারটি হয়তো অজ্ঞাতই রয়ে যাবে, ঠিক যেমনটি আমাদের জানা নেই- ঠিক কতটা ‘বাহ্‌রকিন’ ব্যাগ এরমেস কোম্পানি প্রতি বছর তৈরি করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত