Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
অনাগত মেয়ের কথা জানলেন সাঁতারু মার্ফি

গর্ভে সন্তান নিয়ে খেললেন অলিম্পিক ফেন্সিংয়ে

76
[publishpress_authors_box]

দক্ষিণ কোরিয়ান হা–ইয়াং জিওনের সঙ্গে ফেন্সিংয়ের স্যাবরে ইভেন্টে লড়ছিলেন মিসরের নাদা হাফেজ। দৃশ্যত দুজন মনে হলেও ছিলেন আসলে তিনজন! কারণ নাদা হাফেজের গর্ভে ছিল সাত মাসের সন্তান।

গর্ভে সন্তান নিয়ে প্যারিস অলিম্পিকের শেষ ষোলয় পৌঁছেছিলেন নাদা। প্যারিসের গ্রঁ পালাইয়ে প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে হারিয়েছিলেন ১৫–১৩ পয়েন্টে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার হা–ইয়াং জিওনের কাছে ১৫-৭ পয়েন্টে হেরে যান পেশায় ২৬ বছরের এই চিকিৎসক।

ম্যাচ হারলেও দর্শকরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান তাকে। এ সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি এই প্যাথলজিস্ট। এটা ছিল তার তৃতীয় অলিম্পিক। আর গর্ভে সন্তান নিয়ে তৃতীয়বার খেলতে আসার পেছনে স্বামী ইব্রাহিম ইহাব ও পরিবারের প্রতি ইনস্টাগ্রামে কৃতজ্ঞতা জানালেন কায়রোর এই ফেন্সার, ‘‘পোডিয়ামে দুজন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম। আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আর আমার ছোট্ট সন্তান। পৃথিবীতে যে এখনো আসেনি। আমি ভাগ্যবান, আমার স্বামী ও পরিবারের আস্থা অর্জন করে এত দূর আসতে পেরেছি।’’

ম্যাচ হারলেও শেষ ষোলোয় পৌঁছে খুশি নাদা হাফেজ, ‘‘আমি আর আমার সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে দারুণ চ্যালেঞ্জ জানাতে জানিয়েছি প্রতিপক্ষকে যা গর্বের। আমার সত্তাকে পূর্ণতা দিয়েছে এটা।’’

এদিকে ছেলেদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রায়ান মার্ফি। তার স্ত্রী ব্রিজেট কন্টিনেন অন্তঃসত্ত্বা। জানুয়ারিতে সেই সন্তান আসার কথা পৃথিবীতে, তবে সেটা ছেলে না মেয়ে জানতেন না মার্ফি। তিনি ভিক্টরি ল্যাপ দেওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী ব্রিজেট কন্টিনেন গ্যালারিতে উঁচিয়ে ধরেন একটি প্লাকার্ড। সেখানে লেখা ছিল, ‘‘রায়ান, এটা মেয়ে!’’

এরপর ২৯ বছর বয়সী মার্ফি বললেন বলেছেন, ‘‘ জানতাম সে অন্তঃসত্ত্বা। দুজনেই ভেবেছিলাম হয়তো ছেলের মুখ দেখব। তবে এখন সবকিছু আমাদের ছোট্ট মেয়েকে উৎসর্গ করব।’’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত