দেশে টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের আকাল। নতুন ক্রিকেটার খুঁজতে তাই এক দশক পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ফেরানো হয় টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। জিশান আলম, আজিজুল হাকিম তামিম, আহমেদ শরীফের মতো তরুণরা চিনিয়েছেন নিজেদের। তবে জাতীয় দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়রাও প্রমাণ করেছেন নিজেদের।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৩১৬ রান করেছেন নাঈম শেখ। সবচেয়ে বেশি ১৯ উইকেট আলাউদ্দিন বাবুর। ৩৩ বছর বয়সী আলাউদ্দিন জাতীয় দলে ডাক পাননি কখনও। তবে ছিলেন ‘এ’ দলে। আর নাঈম শেখ টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন ২০২২ সালের আগস্টে।
সর্বোচ্চ রান করা নাঈমের স্ট্রাইক রেট ১৩৫.০৪ আর গড় ৩১.৬০। তার ব্যাটে চড়েই ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল ঢাকা মেট্রো। এমন পারফরম্যান্সে কি জাতীয় দলের দুয়ার খুলবে তার জন্য?
জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচেই ঝড় তুলে জিশান আলম সেঞ্চুরি করেছিলেন ৫২ বলে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই ব্যাটার ৮ বলের মধ্যে ছক্কা মেরেছিলেন ৭টি। ১৫৮.৭৬ স্ট্রাইক রেট ও ৪০.১৪ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮১ রান করেছেন জিশান। তিনি মেরেছেন ২২টি ছক্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ ছক্কা হাবিবুর রহমানের।
এছাড়া নুরুল হাসান সোহান ২৬৬, রাজশাহীর হাবিবুর রহমান ২৫৯ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আজিজুল হাকিম তামিম খুলনার হয়ে ৯ ম্যাচে ১৩৬.৯৯ স্ট্রাইক রেটে করেছেন পঞ্চম সর্বোচ্চ ২৩৭ রান।
রংপুর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আকবর আলীর নেতৃত্বে। ব্যাট আর উইকেটের পেছনেও স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন আকবর। ১৪ ছক্কায় ১৪৯.৬৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২০৮ রান। উইকেটের পেছনে ডিসমিসাল করেছেন টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১২টি। জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার দাবি করতেই পারেন।
বোলিংয়ে ৯.৯৪ গড় আর ৫.৫০ ইকোনমিতে সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট আলাউদ্দিন বাবুর। চট্টগ্রামের হয়ে খেলা ২০ বছর বয়সী পেসার আহমেদ শরীফ নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের স্পিনার রাকিবুল হাসান নিয়েছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট।
আলিস আল ইসলাম ১৪ আর আবু হায়দার রনি নিয়েছেন ১৩ উইকেট।