শোয়েব আখতারের শহর রাওয়ালপিন্ডি। সেখানে গতির ঝড় তোলার অপেক্ষায় ছিলেন পাকিস্তানি পেসাররা। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়েছেন নাহিদ রানা। এই তরুণ দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন একটা বল করেছিলেন ঘণ্টায় ১৫২ কিলোমিটার গতিতে।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গতির বল সেটাই। এর আগে রুবেল হোসেনের ঘণ্টায় ১৪৯.৫০ কিলোমিটার গতির বল ছিল বাংলাদেশের সেরা। এমন গতিতে বল করায় নাহিদকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকারাও।
প্রশংসা করলেন ক্রিকেট কোচ ও বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। তবে এত কম বয়সে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে নাহিদ বল করতে পারবেন ধারণা ছিল না তার।
এজন্য মজা করে গণমাধ্যমে নাজমুল আবেদিন ফাহিম বললেন, ‘‘আমি নাহিদ রানার ব্যাপারে একটু অখুশি! আমি কালকে না পরশুই বলছিলাম যে, নাহিদ রানা ঘণ্টায় ১৪৯ কি.মি গতিতে বল করছে। আশা করছি এক দেড় বছরের মধ্যে আরও শক্তিশালি হবে। ঘণ্টায় ১৫৩ বা ১৫৪ কি.মি. গতিতে বল করবে। সেটা এক দেড় বছর পরে। কিন্তু নাহিদ রানা দেখলাম যে পরের দিনই ১৫৩ কি.মি-এর কাছাকাছি চলে গেল। তাই আমি যে কথাট বললাম, ও সেটার গুরুত্ব দিল না আর কি? একদিনের মধ্যে রেকর্ড ভেঙে দিল। এটা অসাধারণ।’’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখন প্রতিটা পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। টানা দুবার ফাইনাল খেলা ভারতও তাই বাংলাদেশকে আর হালকাভাবে নিবে না। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর সেটাই মনে হচ্ছে ফাহিমের, ‘‘যদি পাকিস্তানে গিয়ে একজন সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করি তারা কিন্তু ভুল স্বীকার করতে বাধ্য হবে বাংলাদেশকে আমরা যেমন ভেবেছিলাম বাংলাদেশ তেমন না। আমি নিশ্চিত ভারতেও আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে আমরা ভারতে যাচ্ছি। আমাদেরকে আর হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই, নিশ্চয় এটা আলাপ হবে।’’
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করাটা এমনিতে হয়নি। বাংলাদেশ যে যথেষ্ট মান সম্পন্ন দল এই সাফল্যই সেই কথা জানান দিচ্ছে বলে মনে করেন ফাহিম, ‘‘যেহেতু এটা টেস্ট ম্যাচ সেজন্য এটা বিশেষ। এটা ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হলে হয়ত অন্যভাবে চিন্তা করা যেতো, বলো যেতো। কিন্তু টেস্ট ম্যাচে এরকম ধারাবাহিকতা দেখানো, উপর-নিচে এসে জয়ের সময় যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটাতে ফিরে আসা, করা। এটার জন্য একটা কোয়ালিটির প্রয়োজন আছে, কোয়ালিটি ছাড়া টেস্টে ক্রিকেটে এভাবে পারফর্ম করা যায় না ধারাবাহিকভাবে। যে জিনিসটা বুঝলাম আমাদের সামর্থ্যের যে ব্যাপারটা সেটা আছে সবসময় হয়ত আমরা সামনে নিয়ে আসতে পারি না।’’