রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে খরুচে ছিলেন নাহিদ রানা। ১৯ ওভারে ১০৫ রানে ছিলেন উইকেটহীন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ ওভারে ৩০ রান দিলেও নিয়েছেন বাবর আজমের মূল্যবান উইকেটটি। ঘণ্টায় ১৪৬.৪ কিলোমিটার গতির বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন বাবর।
বাবর আজমকে বোল্ড করা নিয়ে বিসিবির ফেইসবুক পেজে আপলোড করা এক ভিডিওতে কথা বলেছেন নাহিদ। তখন পাশে ছিলেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। নাহিদ বললেন, ‘‘অধিনায়ক আমাকে সামনে সামনে বাউন্সার করার পরিকল্পনা দিয়েছিল। সে আগেই চাপে ছিল, কারণ অন্য দুজন ভালো বোলিং করে গেছে (দুই পেসার)। ব্যাকফুটে থাকতে থাকতে সামনের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে।’’
ঘণ্টায় নিয়মিত ১৪৫ কি.মি. গতিতে বলা করা নাহিদের গতি আর বাউন্সে অবশ্য তটস্থই ছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ব্যাটিং বান্ধব এই উইকেটে বাংলাদেশি বোলারদের সাফল্য নিয়ে নাহিদ জানালেন, ‘‘উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। আমরা বোলাররা চেষ্টা করেছি ব্যাটারদের লাইন না দিয়ে লাইন টু লাইন বোলিং করতে। বোলিংয়ে যখন আসি, তখন অধিনায়ক একটা পরিকল্পনা দেন। নিজের প্রতি আমার ভরসা ছিল, অধিনায়কেরও ভরসা—ওই অনুযায়ী বোলিং করা চেষ্টা করেছি।’’
নাহিদ রানা কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদেরও, ‘‘সাকিব ভাই–মুশফিক ভাইদের মতো লিজেন্ডদের সঙ্গে এক দলে খেলা অনেক বড় কিছু। যাদের খেলা টিভিতে দেখেছি, তাদের সঙ্গে মাঠে খেলছি, এই বিষয়টা আমাকে উৎসাহ দেয়। শুরুর দিকে বোলিং করার সময় ব্যাকফুটে ছিলাম—হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ভাই কামব্যাক করতে সহায়তা করেছেন। লাইন–লেংথ ঠিক করে বোলিং করতে বলেছেন। নতুন একটা স্পেল যখন শুরু করেছি, তখন তাঁরা বলেছেন, ‘এটা করলে ভালো হয়’, এভাবে অনেক সাহায্য করেছেন।’’
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। তিনিও প্রশংসা করলেন ২১ বছর বয়সী তরুণ পেসার নাহিদের। পাশাপাশি ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে বোলারদের সাফল্য নিয়ে হাসান জানালেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপটাই অন্য রকম। নাহিদের বোলিং অ্যাফোর্ট দেখে বুঝতে পারি ও খুব তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি ও মানিয়ে নিতে পারবে, ওর জন্যই ভালো। ম্যাচের আগে যে অনুশীলন করেছিলাম, তখন ভালো জায়গায় বোলিংয়ের চেষ্টা করেছি, ওটার প্রভাবই ম্যাচে পড়েছে। আমি ও শরিফুল জুটি হিসেবে বোলিং করেছি, এরপর রানা এসেছে। ও ব্যাটারদের কঠিন সময় দিয়েছে, এটা আমাদের হেল্প করছে, সঙ্গে দলের জন্যও ওর অবদান ছিল।’’
শেষ দিনের টার্নিং উইকেটে স্পিনারদেরও কৃতিত্ব দিলেন হাসান মাহমুদ, ‘‘যেহেতু শেষ দিনে উইকেটে টার্ন ছিল। সাকিব-মিরাজ ভাই গুরুত্বপূর্ণ স্পেল করেছেন। সবার বিশ্বাস ছিল, স্পিনে ওদের আটকাতে পারব। এই হিসেবে ওনারা উইকেটগুলো নিয়েছেন, ওদের অলআউট করতে পেরেছি।’’