লক্ষ্যটা সহজই ছিল। ওমানকে হারাতে করতে হত ১১০ রান। কিন্তু ব্রিজটাউনে নাটকীয়ভাবে টাই হয়ে যায় ম্যাচটা। নামিবিয়াও থামে ওমানের সমান ঠিক ১০৯ রানে। পার্থক্য বলতে ওমান অলআউট হয়েছিল ১৯.৪ ওভারে আর নামিবিয়া হারায় ৬ উইকেট।
সুপার ওভারে ওমানের পেসার বিলাল খান করেছেন এলোমেলো বোলিং। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ডেভিড ভিসা ও অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমুস তোলেন বিনা উইকেটে ২১ রান। ভিসা ১৩ ও এরাসমুস করেন ৮।
জবাবে ওমান করেছিল ১ উইকেটে ১০। ব্যাটের মত বল হাতেও নায়ক ভিসা। তিনি সুপার ওভারে বল করতে এসে দেন ১০ রান, নেন ১ উইকেট। সহজ ম্যাচ কঠিন করে জয় পায় নামিবিয়া। বিশ্বকাপে সবশেষ সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হয়েছিল ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচে।
এর আগে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটা শেষ ওভারের নাটকে হয়ে যায় টাই! তাই ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে নামিবিয়ার দরকার ছিল ৫ রান, হাতে ৬ উইকেট। প্রথম বলেই ছন্দে থাকা জেন ফ্রাইলিঙ্ককে (৪৫ রান) ফিরিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা আনেন মেহরন খান। নিজের প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়েছিলেন তিনি।
মেহরনের দ্বিতীয় বলটা ডট। শেষ ৪ বলে দরকার তখন ৫ রান। তৃতীয় বলে জেন গ্রিন লেগ সাইডে স্কুপ করতে যেয়ে এলবিডাব্লিউ। ম্যাচ ১৮০ ডিগ্রি টার্ন নিয়ে তখন ঝুঁকে ওমানের দিকে। চতুর্থ বলে এক রান নেন মালান ক্রগার। পঞ্চম বলে স্ট্রেট ড্রাইভে ২ রান ডেভিড ভিসের। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। কিন্তু ১ রানই নিতে পারেন ভিসা। ম্যাচ টাই, সমান হয়ে যায় স্কোর। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে! মেহরন নেন ৩ উইকেট।
এর আগে রুবেন ট্রাম্পলম্যান প্রথম দুই বলে নেন দুই উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এমন নজির এটাই প্রথম। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ২৬ বছর বয়সী পেসার রুবেন ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওমানকে অলআউট করেছিলেন ১০৯-এ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা ডেভিড ভিসা এখন জাতীয়তা বদলে নামিবিয়ান। তিনি ২৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমুসের শিকার ২ উইকেট। ওমানের হয়ে ৩৯ বলে সবচেয়ে বেশি ৩৪ রানের ইনিংস খালিদ কাইলের। সাবেক অধিনায়ক জিশান মাকসুদ ২২ ও শাকিল আহমেদ করেন ১১।
জবাবে নামিবিয়াও প্রথম উইকেট হারায় দ্বিতীয় বলে। বিলাল খানের বলে ০ রানে বোল্ড হন ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিনগেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়ে ধাক্কাটা কাটান নিকোলাস ডেভিন ও জেন ফ্রাইলিঙ্ক। ৩১ বলে ২৪ করা নিকোলাসকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন ওমান অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস।
এরপর ফ্রাইলিঙ্ক, অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমুস,জেজে স্মিট ও ডেভিড ভিসার ব্যাটে জয়ের আশা জাগিয়েছিল নামিবিয়া। এরাসমুস ফেরেন ১৬ বলে ১৩ করে। ফ্রাইলিঙ্ক খেলেন ৪৮ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৫ রানের ইনিংস। আর জেজে স্মিটের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৮ রান।
তবে শেষ ওভারের নায়ক মেহরন খান। ৩৭ বছর বয়সী এই মিডিয়াম পেসার ৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নায়ক ওমানের। এরপর সুপার ওভারে ব্যাটে-বলে নায়ক ডেভিড ভিসা।