ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে স্কটল্যান্ডকে। ওদিকে নামিবিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতেছে সুপার ওভারে। ওমানের সঙ্গে ওই ম্যাচ কোনোমতো পার পেলেও স্কটিশদের সামনে ধরাশয়ী আফ্রিকার দেশটি। তাদের হারিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে স্কটল্যান্ড।
বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালের ম্যাচ ৫ উইকেটে জিতেছে স্কটিশরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করেছিল নামিবিয়া। সেই লক্ষ্য ১৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে রিচি বেরিংটনের দল।
দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে এই ম্যাচে রান হয়েছে ৩১২। স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার মুখোমুখি লড়াইয়ে এটাই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে দল দুটির ম্যাচে সর্বোচ্চ রান উঠেছিল ২৯৪। এবার সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়া ম্যাচটি জিতে নিল স্কটল্যান্ড।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া নামিবিয়া খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন জেরার্ড এরাসমাস। অধিনায়কের ৩১ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে লড়াই করার মতো স্কোর গড়ে আফ্রিকার দেশটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান জেন গ্রিনের।
স্কটল্যান্ডের ব্র্যাড হুইল ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ব্র্যাড কুরে ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট।
১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না স্কটল্যান্ডের। ওপেনার জর্জ মানসি বিদায় নেন ৭ রানে। তবে বেরিংটন ও মাইকেল লিস্কের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয় নিশ্চিত হয় স্কটিশদের। আস্কিং রেট কমিয়ে এনে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন লিস্ক। ফেরার আগে ১৭ বলে ৪ ছক্কায় খেলে যান ৩৫ রানের ইনিংস। এর আগে বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তারই হাতে।
অধিনায়ক বেরিংটনকে অবশ্য আউট করতে পারেনি নামিবিয়া। ৩৫ বলে ২ চার ও সমান ছক্কায় ৪৭ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
নামিবিয়ার অধিনায়ক জেরার্ড এরাসমাস ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি।