Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

কয়েল ধরানোর সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি টিনশেড বাড়িতে মশার কয়েল ধরানোর সময় ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে নারী ও শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।

বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বাঘপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহাম্মেদ।

আহতরা হলেন– সুখী আক্তার (৩২), তার মেয়ে সাদিয়া (১০), বোন জান্নাতি আক্তার (১৮), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), ফুপাত বোন রহিমা আক্তার (৩২) ও রহিমার মেয়ে ঋতু (১৩)। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন আহাম্মেদ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, টিনশেড বাড়িটির পাশ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সে লাইনের পাইপ ফাঁটা ছিল। সেখান থেকে গ্যাস বেড়িয়ে ওই ঘরের টয়লেটের ভেতর দিয়ে রুমে গিয়ে জমা হয়। রাতে ঘরে কয়েল জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর পুরো রুমে আগুন ধরে যায়। তবে আগুন ঘরের বাইরে ছড়ায়নি। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

দগ্ধ রহিমার স্বামী জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, বাঘপাড়া এলাকার ভাড়া বাড়িটিতে সুখী বেগম তার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। সুখীর স্বামী নূর মোহাম্মদ এখানে একটি কারখানায় চাকরি করেন। ১৬-১৭ দিন আগে সুখীর মেয়ে একটি সন্তান হয়। সেই সন্তানকে দেখতে রহিমা তার মেয়ে ঋতুকে নিয়ে সুখীর বাসায় এসেছিলেন। রাতে বাসায় কয়েল ধরাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়।

দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া এক প্রতিবেশী জানান, চিৎকার শুনে গিয়ে ঘরে আগুন জ্বলতে দেখেন তিনি। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়। আহতের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ছয়জনকেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, রহিমা আক্তারের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। সুখী ও জান্নাতি যথাক্রমে ১৭ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি। বাকি তিনজনের মধ্যে সাদিয়ার শরীরের ৫ শতাংশ, আরিফের ৩ শতাংশ ও রিতুর ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

গ্যাস থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দগ্ধ হওয়া ব্যক্তিরা অভিযোগ করলে তদন্ত করে মামলাও নেওয়া হবে।

এদিকে খবর পেয়ে তিতাসের একটি টিম এসে লাইন মেরামতের কাজে যোগ দেয়। তবে এ দলের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তিতাসের নারায়ণগঞ্জের উপমহাব্যবস্থাপক মামুনার রশিদও ফোন ধরেনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত