নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের চার নম্বর ওয়ার্ডের আটিগ্রাম এলাকায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (৩৬)। তিনি আটিগ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
বিকাল চারটার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন, মিলন মিয়ার বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে করা চারটি মামলার আসামিও মিলন এর আগে গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় এক মসজিদের ইমামের বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুজনকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া বলেন, “চুরির দায়ে যারা ধরা পড়ে তারা স্থানীয়ভাবে মিলনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। দুপুরে মিলন তার লোকজন নিয়ে এলাকায় আসেন। তাদের দেখতে পেয়ে এলাকায় ডাকাত দল এসেছে বলে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হলে লোকজন জড়ো হয়। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে মিলনকে ধরে মারধর করে।”
এসআই মোখলেছুর জানান, গণপিটুনির শিকার মিলনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, নিহতের শরীরে ধারাল অস্ত্রের বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার দুই পায়ের রগও কাটা ছিল। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যাবে।
মিলন দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, “তার নিয়ন্ত্রণে এলাকায় একটি চক্র ছিল। এ ঘটনার পেছনে প্রতিদ্বন্দ্বী চক্রের কোনও হাত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে জানিয়ে ওসি বলেন, এর সঙ্গে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।