শান্তিতে নোবেলজয়ী নারগিস মোহাম্মদিকে সোমবার আরও ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ইরানের আদালত। বিদেশ ভ্রমণে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে তাকে।
কয়েক দফায় ১২ বছর কারাভোগ করা ৫১ বছর বয়সী এই মানবাধিকারকর্মী ২০২১ সাল থেকে কারাবন্দি। ইরান সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও প্রচার চালানোয় এই সাজা ভোগ করছেন নারগিস মোহাম্মদি। নারী অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের জন্য ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে।
বিভিন্ন মামলায় ৩১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত নারগিস। এবার কারাবন্দি অবস্থায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে তাকে নতুন করে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানী তেহরান থেকে তাকে দুই বছরের জন্য সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
নারগিসকে এবার তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগার থেকে সরিয়ে অন্য কোনও কারাগারে নেওয়া হবে। সেই কারাগারে এই ১৫ মাস সাজা খাটতে হবে। এর মধ্যে সব মামলায় মুক্তি পেলেও দুই বছর বিদেশ যেতে পারবেন না তিনি।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, একই সময়ে তিনি কোনও রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারবেন না। এমনকি সঙ্গে মোবাইল ফোনও রাখতে পারবেন না।
তার পরিবার এই রায়ের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, শুধু ২০২১ সালের মার্চ থেকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো নারগিসকে সাজা দেওয়া হলো। নোবেলজয়ী নারগিসের অনুপস্থিতিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।
নারগিস মোহাম্মদি গত কয়েক দশক ধরে ইরানে মানবাধিকারের জন্য প্রচার চালিয়েছেন। এজন্য গত ২০ বছরের বেশিরভাগ সময় তাকে কারাগারেই থাকতে হয়েছে। এই সময়ে নারগিসকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র: বিবিসি