Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

প্রতিমন্ত্রীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার গ্যাস অনুসন্ধান

নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

নতুন করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পরদিনই প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাস অনুসন্ধানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এসময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত যে কয়টি কূপ খনন করা হয়েছে তার সবগুলোতেই গ্যাস পাওয়া গেছে।

দিন বা তারিখ নির্ধারণ না করে কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী স্তর ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, “বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। খুব ভালো সংবাদ হলো, অনেক কূপ ছোট হলেও ভালো অবস্থায় রয়েছে।”

এ বছরই ভোলা থেকে বরিশালে পাইপলাইনের কাজ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, “ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। আশা করছি আস্তে আস্তে আরও বাড়বে। ৪৬টি কূপ এবং পরে আরও ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা আমরা করেছি।

“আমরা চাই ২০২৫ সালের মধ্যে এ ৪৬টি কূপের খনন কাজ শেষ করতে, পরে আরও ১০০ কূপ খনন করতে। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের জোগান দিতে পারব।”

২০২৭ সালের দিকে দেশের চাহিদা প্রায় ৬ হাজার এমএমসিএফডি বাড়বে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যেভাবে শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের চাহিদা থাকবে সেভাবে ম্যানেজমেন্ট করা হবে। পেট্রোবাংলা এ সংক্রান্ত ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন মাস্টারপ্ল্যানে হাত দিয়েছে। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে এটা শেষ হবে। নতুন করে আমাদের আরও ১ দশমিক ৬ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এগুলো নিয়েও কাজ চলছে।

চলতি বছরের রমজান মাস এবং গ্রীষ্মকালে আগের চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই চাহিদা মোকাবেলায় সরকার এখনই উদ্যোগ নিচ্ছে।”

বিদ্যুৎ খাতে সামনে তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা বললেন প্রতিমন্ত্রী। এগুলো হলো, সেচ মৌসুম, রমজান মাস এবং গোটা বছর জুড়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিরবচ্ছিন্ন রাখা।

তিনি বলেন, “এবার গরম আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে কোনোকিছুই প্রেডিক্ট করা যায় না। এ কারণেই আমরা সময় মতো গ্যাস ও কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি। আমরা মনে করছি, সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো অবস্থান আমরা তৈরি করতে পেরেছি।”

তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে গোটা বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সরবরাহ চেইন গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে উত্তেজনা বেড়ে চলছে। সেটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

জানুয়ারির শেষ দিক থেকে শুরু হয়ে জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা অব্যাহত থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, “সংকট সামাল দিতে সরকার আগে-ভাগেই এলএনজি টার্মিনাল সংস্কার করতে পাঠিয়েছে।

“আগামী তিন থেকে চারমাসের মধ্যে আমরা কী পরিমাণ তেল পেলাম সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যাব। আমি মনে করি বছরের শুরুতে সবার জন্য একটা ভালো সুখবর হবে।”

সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) থাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বন্দর সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত