বাংলাদেশের দলের অন্দরমহলে একটা ছোটখাটো বিপ্লব ঘটে গেছে। সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে যে বিভাজন দেওয়াল তুলে দিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার সেটার প্রভাব পড়েছে দলের অনুশীলনে।
এর আগে কাঠমান্ডু এসে বাংলাদেশ দল নিয়মিত অনুশীলন করেছে দুটি ভেন্যুতে। ললিতপুর আনফা কমপ্লেক্স মাঠে প্রথমে অনুশীলন করে। এরপর করেছে সেন্ট জাভিয়ের স্কুলের মাঠে। কিন্তু মঙ্গলবার অনুশীলন ভেন্যুর বদল হয়েছে। এদিন সাবিনা খাতুনেরা অনুশীলন করেছেন নেপাল আর্মি হেড কোয়ার্টার সংলগ্ন মাঠে।
অনুশীলনে ঢোকার আগেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ নওমির ঘোষণা, “আজ কোনও সিনিয়র ফুটবলার কথা বলবেন না। এমনকি কোচ পিটার বাটলারও কোনও কথা বলবেন না।”
সোমবার সাবিনাদের টিম হোটেল দি সোলটির লবিতে দাঁড়িয়ে মনিকা চাকমা সরাসরি কোচের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। তিনি বলেন, কোচ পিটার বাটলার পছন্দ করেন না সিনিয়রদের। যে কারণে ২০ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে সিনিয়র ফুটবলার মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার, মাসুরা পারভীনদের মতো সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়া হয় নি।
এটা নিয়ে কাঠমান্ডুতে সাফ কাভার করতে আসা সাংবাদিকেরা সংবাদ প্রকাশ করার কারণেই বাংলাদেশের অনুশীলনে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগের দিন সাধারণত সিনিয়র ফুটবলার ও কোচ দলের অবস্থা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
অনুশীলন মাঠে পুরোটা সময় সিনিয়র ফুটবলারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও অনেকে দূরে দূরে থেকেছেন। অনেকেই ভয়ে এড়িয়ে গেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের।
বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, টিম হোটেলের খবর সংবাদ মাধ্যমে চলে আসায় অনেক সিনিয়র ফুটবলার খাওয়ার টেবিলে বসে ধমক দিয়েছেন জুনিয়রদের।
তবে কি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই নেতিবাচক শিরোনাম হওয়ার ‘জুজু’ লেগে গেছে ফুটবলারদের গায়ে?