Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

আড়াল থেকে বেরিয়ে পুতিনের মুখোমুখি নাভালনায়া

রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা প্রয়াত অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া। ছবি: আনাদোলু নিউজ
রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা প্রয়াত অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া। ছবি: আনাদোলু নিউজ
[publishpress_authors_box]

ক্যামেরার সামনে আসতে চাইতেন না। ঘরসংসার আর একমাত্র মেয়ে দাশা নাভালনায়াকে নিয়েই সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। রাশিয়ার প্রতাপশালী শাসক ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানানো স্বামীর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে দেখা যেত কালেভদ্রে। রাজপথে মিছিলে স্বামীর পাশে হাঁটছেন, তবে স্লোগান দিচ্ছেন না। ব্যস, এতটুকুই ছিল স্বামীর রাজনীতিতে তার সম্পৃক্ততা।

কিছুদিন আগে একটি খবর এই নারীর জীবন এলোমেলো করে দেয়। তাকে জানানো হয়, তার কারাবন্দি স্বামী মারা গেছেন।  

বলছি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে বড় শত্রু ও বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়ার কথা।   

স্বামীর মৃত্যুতে তিনি যে শোক করবেন, সে উপায়ও রাখেনি রুশ কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পরও নাভালনির মরদেহ হস্তান্তরেও চলে গড়িমসি।   

উপায়ন্তর না দেখে জনগণের দৃষ্টি সবসময় এড়িয়ে চলা নাভালনায়া সবার সামনে হাজির হতে বাধ্য হন। স্বামীর লাশ বুঝে পাওয়ার দাবি জানান। শুধু তাই নয়, স্বামীর মৃত্যুর জন্য পুতিনকে পর্যন্ত দায়ী করেন তিনি। অভিযোগ করে বলেন, নোভিচক বিষ দিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

বদলে যাওয়া নাভালনায়া      

নাভালনির মৃত্যু তার স্ত্রী নাভালনায়ার জীবন বদলে দিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর তিন দিন পর তিনি জনসম্মুখে অঙ্গীকার করেন, পুতিন ও তার মিত্রদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। একই সঙ্গে স্বামীর অসমাপ্ত কাজও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।              

নাভালনায়ার বর্তমান অবস্থানকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই নারীই একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মেয়ে দাশা আর সংসার সামলানোই তার জীবনের প্রধান কাজ।      

অঙ্গীকার পূরণ করতে গেলে স্পষ্টতই নাভালনায়ার প্রধান কাজ হবে রাশিয়ার বিরোধী দলকে নেতৃত্ব দেওয়া। যে রাশিয়া এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

রাশিয়ার বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ নন। নাভালনির মৃত্যু তাদের কাছে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে হাজির হয়েছে।      

প্রশ্ন উঠেছে, নাভালনায়া কি তার স্বামীর অনুসারীদের একত্রিত করতে পারবেন? অন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কি পারবেন একসঙ্গে কাজ করতে? তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা কি পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, যেখানে রাশিয়ার এই শাসক ক্রমাগত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছেন এবং ভিন্নমতাবলম্বী ও সমালোচকদের কারাগারে পাঠিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ করছেন, তৎপরতা থামিয়ে দিচ্ছেন।                             

স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়ার সঙ্গে অ্যালেক্সি নাভালনি। ছবি: আনাদোলু নিউজ

নাভালনি ও নাভালনায়ার দাম্পত্য জীবন ২০ বছরের বেশি সময়ের। এই পুরো সময় স্বামীর রাজনীতি দেখেছেন তিনি।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর রাশিয়ার বড় বড় আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেন নাভালনি, নেতৃত্বেও ছিলেন। এর জেরে কারাভোগ তার জীবনে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। দুঃসময়ে স্ত্রীকে সবসময় পাশে পেয়েছিলেন নাভালনি। তার চিন্তা-কর্মকাণ্ডকে বরাবরই পেছন থেকে সমর্থন যুগিয়ে গেছেন নাভালনায়া।      

এবার তিনি আর নেপথ্যে থাকছেন না। সামনে থেকে স্বামীর মতো ‘স্বাধীন রাশিয়ার’ দাবিতে লড়ে যেতে চান। এই সংগ্রামে রুশদের পাশে থাকারও আহ্বান জানান নাভালনায়া।

রাশিয়ার সদ্যপ্রয়াত রাজনীতিক নাভালনির স্ত্রীর এই অবস্থানকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ হিসেবে দেখছে ক্রেমলিন।

তাদের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ এরই মধ্যে বলেছেন, বিরোধী দলের নেতার মৃত্যুতে পুতিনের হাত থাকার নাভালনায়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। নোভিচক বিষ দিয়ে কারাগারে নাভালনিকে হত্যার অভিযোগও বানোয়াট।  

নাভালনায়ার সন্দেহ, নোভিচক বিষ দিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। তার এই সন্দেহ অমূলক নয়।             

২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাইবেরিয়া থেকে বিমানে মস্কো যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। রাশিয়ায় কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে জার্মানি পাঠানো হয়।

জার্মান চিকিৎসকরা সে সময় বলেছিলেন, নাভালনির দেহে নোভিচক বিষ পাওয়া গেছে। জার্মানির তৎকালীন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল স্বয়ং এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছিলেন। রাশিয়া সরকারের কাছে এর জবাবদিহিও চেয়েছিলেন তিনি।

জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে ২০২১ সালে দেশে ফেরেন নাভালনি। তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে সময় তার স্ত্রীসহ ঘনিষ্ঠদের মধ্যে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়। এ তথ্য দিয়েছেন ওই দম্পতির দীর্ঘদিনের বন্ধু ও নাভালনির দুর্নীতি দমন ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির আশুরকভ।

তিনি বলেন, সবকিছু জেনেশুনে স্বামীর কাজ অব্যাহত রাখার নাভালনায়ার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সাহসী। 

নাভালনি-নাভালনায়ার দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে আশুরকভ বলেন, “নাভালনায়া ছিলেন এমন এক ব্যক্তি যার ওপর নাভালনি ভরসা করতে পারতেন। নাভালনায়া রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন না এবং লাইমলাইট থেকে দূরে থাকবেন, এমনটাই বোঝাপড়া হয়েছিল তাদের মধ্যে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জীবন ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নাভালনি জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছিলেন কারণ তিনি জানতেন, বাইরে থাকলে দেশের মানুষ তাকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে সেভাবে মেনে নাও নিতে পারে। এছাড়া নির্বাসনে থেকে দল পরিচালনাও কঠিন।    

জার্মানির মিউনিখ শহরে থাকেন নাভালনায়া। নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার কারণে তার এখন রাশিয়ায় যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ২০২১ সালে দেশে ফেরা নিয়ে তার স্বামীর সামনে যেসব প্রশ্ন হাজির হয়েছিল, আজ সেই একই প্রশ্নের মুখোমুখি তার স্ত্রী। নির্বাসনে থেকে কীভাবে নাভালনির দল রাশিয়া অব দ্য ফিউচারের নেতৃত্ব দেবেন তিনি?   

কোপেনহেগেনে রুশ দূতাবাসের বাইরে রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা প্রয়াত অ্যালেক্সি নাভালনির স্মৃতির উদ্দেশে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি: রয়টার্স

নির্বাসিত বিরোধী নেতার সঙ্গে যোগাযোগ

রাশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক কারাগারে ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই বেলারুশের বিরোধী নেতা সিয়ারহি ঝিখানস্কির স্ত্রী সিয়াতলানা ঝিখানাস্কায়ার সঙ্গে দেখা করেন নাভালনায়া।

ঝিখানস্কিকে বেলারুশ সরকার জেলে পোরার পর ২০২০ সালে তার স্ত্রী ঝিখানাস্কায়া রাজনীতিতে যোগ দেন এবং বিরোধী দলের নেতা হন।

ওই বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বেলারুশের কর্তৃত্ববাদী শাসক আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কোর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন ঝিখানাস্কায়া। নির্বাচনে লুকাশেঙ্কো নিজেকে জয়ী ঘোষণা করলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি করেছিলেন লুকাশেঙ্কো।           

নাভালনায়া সম্পর্কে তিনি বলেন, “কোনও শব্দ খরচ না করেই আমরা পরস্পরকে বুঝতে পারি।”  

বেলারুশের বিরোধী নেতা ও তার স্বামী ঝিখানস্কি বেঁচে আছেন না মারা গেছেন, তা জানেন না ঝিখানাস্কায়া। 

যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একবার বলেছিলেন, “কেউ অনেক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, অথচ তাকে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে উৎসাহিত করার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে হচ্ছে। এটা বেশ কঠিন কাজ।”   

প্রায় চার বছর দেশের বাইরে থেকে অনুসারীদের পরিচালনা করছেন ঝিখানাস্কায়া। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক নির্বাসনে থাকা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। দেশের বাইরে থেকে দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”     

রাশিয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে বেশির ভাগ নাগরিককে খবর পেতে ক্রেমলিননিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের ওপর এখনও নির্ভর করতে হয়।     

নাভালনি রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় বিরোধী নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাকে টেলিভিশনের পর্দায় বলতে গেলে দেখাই যেত না। তার মৃত্যুসংবাদও দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম যতটা কম পেরেছে, দিয়েছে।     

ধারণা করা হচ্ছে, তার স্ত্রী নাভালনায়ার ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটবে ক্রেমলিন। তাকেও নাভালনির মতো রুশ জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে।    

রাশিয়ার পুতিনপন্থি রাজনৈতিক পণ্ডিতেরা এরই মধ্যে নাভালনায়ার সম্মানহানি করতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন, নাভালনির স্ত্রী অনেক বেশি সাজগোজ করেন। রুশ অর্থোডক্স ঐতিহ্য মেনে তার উচিৎ নাভালনির মৃত্যুতে শোক জানাতে মাথার চুল ঢেকে রাখা।

একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পরিচালিত অ্যাকাউন্টগুলো নাভালনায়া-নাভালনির সম্পর্ককে অসম্মান করে যাচ্ছে। 

পেছন থেকে স্বামীর কাজে সমর্থন যুগিয়ে গেছেন ইউলিয়া নাভালনায়া।

নাভালনায়ার বন্ধুর পথ

পুতিনের বাহিনী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর রাশিয়ায় কোনও কিছুর বিরোধিতার করার সুযোগ আরও কমে গেছে।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আরও কড়াকড়ি আরোপ করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি চলছে সমালোচকদের ধরপাকড়, যাদের বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। তাদের কয়েক দশক কারাদণ্ড দিতেও পিছপা হচ্ছে না পুতিনের নেতৃত্বাধীন সরকার। 

এসবের প্রতিফলন নাভালনির মৃত্যুর পরও দেখা গেছে। তার স্মরণে হাজারো জনতা যারা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল, তাদেরকেও আটক করা হয়।

নাভালনির মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ রুশরা পুতিনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যে ডাক দিয়েছিলেন, তা কার্যকর করা দিনকে দিন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।  

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক গ্রায়েম রবার্টসন বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছেন নাভালনায়া। তার চ্যালেঞ্জ হবে, প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা জারি রাখা। কারণ মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা-ক্ষোভ অবিচল থাকে না, ফিকে হতে থাকে।”        

নাভালনায়া এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবেন বলে মনে করেন রবার্টসন। তিনি বলেন, “রাশিয়ায় বাস করা নাভালনির অনুসারী ও বিরোধী দলগুলোকে সমর্থন দিয়ে রাজনীতির মাঠে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারবেন নাভালনায়া।”

স্বল্পমেয়াদে লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা নিয়ে কাজ করার নাভালনায়ার এখনই সময় বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার অধ্যাপক রবার্টসন।     

নাভালনায়া অবশ্য এরই মধ্যে সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরিষদকে সোমবার তিনি তার স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যের কথা জানান।

এদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল ফনটেলসের পাশে বসে পশ্চিমাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সামনে মাসে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলকে যাতে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দেওয়া না হয়। একই সঙ্গে পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ওপর যেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া রুশদের যেন আরও সহায়তা করা হয়।”              

নাভালনির দুর্নীতিদমন ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠতা আশুরকভ মনে করেন, রাশিয়ার বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা নাভালনায়ার আছে। দেশে-বিদেশে তার খ্যাতি আছে, সুনাম আছে।      

এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, নাভালনায়ার পথ মসৃণ নয়, কাঁটায় পূর্ণ। একদিকে তিনি স্বামীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। অন্যদিকে তাকে তার মরদেহ হস্তান্তরের জন্য রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লড়াইও করতে হয়েছে। তার ও নাভালনির ঘনিষ্ঠদের চাপে মারা যাওয়ার ৯ দিন পর শনিবার নাভালনির মরদেহ বুঝে পায় তার পরিবার।

নাভালনায়া বলেছেন, “অ্যালেক্সি নাভালনিকে খুন করে পুতিন আমার হৃদয় ও আত্মার অর্ধেককে হত্যা করেছে।

“তবে হৃদয়-আত্মার বাকি অর্ধেক এখনও আমার কাছে আছে। এই অর্ধেক আমাকে বলছে, হাল ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ আমার নেই।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত