ডিপিএল চলার মাঝেই বদলে গিয়েছিল বাইলজ। বাইলজের ৭.৫ ধারায় বলা ছিল, ৪-৭ ডিমেরিট পয়েন্টের ক্ষেত্রে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য। কিন্তু মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি কমাতে গিয়ে বদলে ফেলা হয় সেই বাইলজ। ৪-৭ ডিমেরিট পয়েন্টের ক্ষেত্রে দুই ম্যাচের বদলে নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনা হয় এক ম্যাচে।
সিসিডিএম ও টেকনিক্যাল কমিটির এমন স্মারকলিপিতে আম্পায়ার ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের মধ্যে জন্ম দেয় অসন্তোষের। শুরু হয় বিতর্ক। পদত্যাগ করেন টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক মনি। বুধবার তার জায়গায় আহ্বায়ক করা হয় বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে।
আজ (বৃহস্পতিবার) ফাহিম নিশ্চিত করেছেন বাইলজের আগের নিয়মে ফিরে যাওয়াটা। তাই তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি থাকবে দুই ম্যাচই। আগামী শনিবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি।
এ নিয়ে বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমকে ফাহিম বললেন, ‘শাস্তি মওকুফের সিদ্ধান্তটি বাতিল করে আগের মতো দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞাই বহাল থাকছে। আমরা মনে করি, তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি মওকুফের সিদ্ধান্তে আমরা প্রক্রিয়ার বাইরে চলে গিয়েছিলাম। সেটি অভ্যন্তরীণভাবে খেলার বাইলজ পরিবর্তনের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছিল, অথচ সে এখতিয়ার টেকনিক্যাল কমিটির ছিল না। আমাদের উচিত ছিল পূর্ববর্তী বাইলজ ও নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা।’’
তাহলে কী আবারও বাইলজের পুরোনো ধরাটা ফিরছে? ফাহিম নিশ্চিত করলেন আগের মতোই ৪-৭ ডিমেরিট পয়েন্টের বেলায় ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার কথা, ‘‘যেহেতু সাম্প্রতিকভাবে আমরা যে বাইলজ পরিবর্তন করেছিলাম, সেটি আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত ছিল—তাই সেটিকে অকার্যকর ঘোষণা করতে হচ্ছে। আগের যেই নিয়ম চালু ছিল, সেটিই আবার বলবৎ করা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী ম্যাচে তাওহিদ হৃদয় খেলতে পারবেন না।’’
মোহামেডানের চাপে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছিল সিসিডিএম, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। ফাহিম সেটা সরাসরি না বললেও অঙ্গীকার করলেন চাপ সামলে কাজ করার, ‘‘এই সিদ্ধান্তে আমাদের দায় রয়েছে। কেউ হয়তো আমাদের অনুরোধ করেছে, কেউ চাপও সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আমাদের কাজ সেই চাপ সামাল দিয়ে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ক্লাব সব পর্যায়ে বাইলজ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। ক্রিকেটে নিয়ম মানা গুরুত্বপূর্ণ, এবং তা যেন সর্বত্র কঠোরভাবে পালিত হয়।’’
ফাহিম আরও বলেন, ‘পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হৃদয়কে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে এক ম্যাচ শেষে তাকে ফের মাঠে নামার অনুমতি দেওয়া হয়, যা আমরা এখন আর ফিরিয়ে আনতে পারি না। সেটিকে আমরা বৈধ হিসেবেই বিবেচনা করছি। তবে সাম্প্রতিক পরিবর্তিত বাইলজটি অকার্যকর ঘোষণা করা হবে এবং আগের নিয়ম বলবৎ থাকবে। সেই ধারাবাহিকতায় হৃদয় পরবর্তী ম্যাচে খেলার সুযোগ পাবেন না।’
