২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কলম্বোর পিসারা ওভালের সেই দুঃস্বপ্ন ফেরার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল সিলেটে। ব্যাখ্যাতীত ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রানেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।
মুমিনুল হকের প্রতিরোধে সেই লজ্জায় আর ডুবতে হয়নি। আজ (সোমবার) ১৮২তে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্ট হারল ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪৬৫ রানে। এরপর লঙ্কানদের বিপক্ষে রানের ব্যবধানে এটাই সবচেয়ে বড় হার।
অথচ ম্যাচ জয়ের আশায় টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ইনিংসেই জোড়া সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস।
সিলেটের এই ব্যর্থতা ভুলে ম্যাচ শেষে চট্টগ্রামে পরের টেস্টে ভালো করার প্রত্যয় ঝড়ল নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে, ‘‘কখনও কখনও এমন কিছু ঘটে যায়। ধনঞ্জয়া আর কামিন্দু অসাধারণ ব্যাট করেছে। আমাদের নতুন বলের বোলাররাও দারুণ শুরু করেছিল, ওদের নিয়ে আমি গর্বিত। আমাদের নতুন বলের ব্যাটিংয়ের জন্য উন্নতি করতে হবে। পরের টেস্টের আগে অনেক কাজ করতে হবে এটা নিয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে, আশা করছি সেখানে আমরা ভালো করব।’’
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩ পেসার ৭ উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪ উইকেট। এটাকেই সিলেটের প্রাপ্তি মনে হয়েছে শান্তর। নাহিদ রানা দুই ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ওভার পিছু ৬-এর বেশি ইকোনমিতে। ব্যাটারদের চেয়ে তাকে সামলাতে বেশি কষ্ট হয়েছে উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাসের!
ব্যাটাররা হতাশ করলেও মুমিনুল হকের অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস নিয়ে শান্তর সন্তুষ্টি, ‘‘চাপের মুখে অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল। আশা করছি ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখবেন তিনি।’’
দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। কামিন্দু মেন্ডিস ও ডি সিলভা দুই ইনিংসে করেছেন ৪৭৬ রান। অথচ বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছে ৩৭০! লঙ্কান পেসাররা এই ম্যাচে নিয়েছেন ২০ উইকেটই। ৩৮ বছর পর লঙ্কান পেসাররা করলেন এমন কিছু।
After 38 years Sri Lanka fast bowlers take all 20 wickets in a Test match.#sportspavilionlk #SLvBAN #SLvsBAN pic.twitter.com/YqpODgTIIn
— DANUSHKA ARAVINDA (@DanuskaAravinda) March 25, 2024
সিলেটে দাপটে জিততে পেরে তাই খুশি ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ‘‘ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো একটা টেস্ট ছিল আমার জন্য। শ্রীলঙ্কার বাইরে এমন ব্যাটিং আর দলের জয়ে খুশি আমি। এই উইকেটে পেসারদের জন্য সাহায্য ছিল। তাই কামিন্দুর সঙ্গে কথা বলছিলাম কিছু শট না খেলার জন্য। আর একটু দেরিতে খেলার জন্য। প্রত্যাবর্তনের টেস্টে দারুণ খেলেছে কামিন্দু, এজন্যই ওকে ৭ নম্বরে চেয়েছিলাম আমি।’’