দলটি দক্ষিণ আফ্রিকা হলেও এই প্রথম তাদের বিপক্ষে কিছুটা এগিয়ে থেকে টেস্ট সিরিজে নামছে বাংলাদেশ। এমনকি ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে নাস্তানাবুদ হলেও ঘরের মাঠে ফেবারিট বাংলাদেশই।
অধিনায়ক শান্তও এমনটা মনে করেন। সাম্প্রতিক ফলাফলের কারণেই এই বিশ্বাস তার। সবশেষ দুই সিরিজের চার টেস্টে জয়-পরাজয়ে ২-২ আছে বাংলাদেশের। তার আগে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয় আছে বাংলাদেশের।
বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকা গত ১০ বছরে এশিয়াকে কোন টেস্ট সিরিজ জেতেনি। টেস্ট জয়ও ছিল না। তার ওপর অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনের কে বড় রান করবে সেই বিশ্বাসও নেই প্রোটিয়াদের। সব মিলিয়ে শান্ত এ সিরিজে নিজেদের অনায়াসেই এগিয়ে রাখলেন।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আমি এটা বিশ্বাস করি অবশ্যই জেতা উচিত। ওদের দলটা অনভিজ্ঞ, এটা ঠিক, তবুও ওরা ভালো দল। আমাদের দলটা গত দুই সিরিজে ভালো-খারাপ দুটোই দেখেছি। কিন্তু হোমে আমরা বরাবরই ভালো করছি। আমাদের দলটা যথেষ্ট যোগ্য। আমি অবশ্যই এই সিরিজে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবো।”
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৪ টেস্টে দুটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৫ সালের ওই সিরিজে দুটি টেস্টেই হানা দেয় বৃষ্টি। এবার বৃষ্টির ড্র ছাপিয়ে জিততে চান শান্ত।
জয়ের চিন্তা নিয়ে একাদশ সাজাতে স্পিনে প্রাধান্য দিচ্ছে বাংলাদেশ। দলে তিন স্পিনার থাকতে পারে বলে ইঙ্গিতও দিয়ে দিলেন। শান্তর কথায় আভাস মিলছে অভিষেক হতে পারে বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদেরও।
সংবাদ সম্মেলনে স্পিনার খেলানোর বিষয়ে শুরুতেই তিন শব্দ উচ্চারণ করার পর পরিস্থিতি ঘুরিয়ে নিতে চারজনের কথা বলেছেন শান্ত, “কালকে যে তিনটা বা চারটা স্পিনার যে কম্বিনেশনেই আমরা যাই আমার মনে হয় সবাই যোগ্য। হাসান মুরাদ হয়তো নতুন কিন্তু অভিজ্ঞতা ভালো। তাই যে কম্বিনেশনেই আমরা যাই তিনটা বা চারটা বোলার সবাই ভালো করবে।”
তবে সাকিবকে অবশ্যই মিস করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “সাকিব ভাই না থাকায় আমাদের কম্বিনেশন মেলানো অবশ্যই কঠিন হবে। এখনও হবে, ব্যাটিং-বোলিং যেটাই হোক আমাদের উনার মতো একজনকে না পাওয়া কঠিন। এখন এটা তো আর আমাদের হাতে নেই। আমরা সবাই জানি কেন উনি খেলতে পারছেন না।”