সহকর্মী মতিউর রহমানকে নিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দিলেন না জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তার ভাষায়, এগুলো কোনও প্রশ্নই নয়।
কোরবানির ঈদের আগে ১২ লাখ টাকায় ছাগল কেনা এক তরুণের বাবা হিসাবে সোশাল মিডিয়ায় মতিউরের নাম আসার পর তার সম্পদ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা; যদিও মতিউর দাবি করেছেন, মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে ওই তরুণকে তিনি চেনেনই না।
এনিয়ে আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যানকে পেয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
বাণিজ্য নীতিবিষয়ক এই আলোচনায় অতিথি আলোচক রহমাতুল মুনিম ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই বক্তব্য দেন।
বক্তব্য দিয়ে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহযোগিতায় সাংবাদিকদের এড়িয়ে লিফটে চড়ে নিচে নেমে যান। যাওয়ার সময় তিনি শুধু বলেন, “এগুলো কোনও প্রশ্ন না। এসবের উত্তর আমি দিতে পারব না।”
এনবিআরের সদস্য মতিউর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী এবার নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
কোরবানির ঈদের আগে ঢাকার সাদিক এগ্রো থেকে ১২ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার ঘোষণা দিয়ে ফেইসবুকে ভাইরাল হন ইফাত নামে ওই তরুণ।
তখনই ফেইসবুকে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে যে ইফাতের বাবা মতিউর। তাকে ‘বাবা’ সম্বোধন করে ইফাতের পোস্টও ছড়িয়ে পড়ে ফেইসবুকে।
শুধু তাই নয়, এই ছাগলের সঙ্গে ইফাতের নানা ব্র্যান্ডের গাড়ির ছবিও আসে ফেইসবুকে। তা ধরে মতিউরের সম্পদ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
তবে মতিউর দাবি করছেন, ইফাত তার ছেলে নন, তাকে তিনি চেনেনই না।
স্ত্রী লাকীর নির্বাচনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তিনি অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন বলেও সন্দেহ করছেন মতিউর।
এদিকে যাকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত, সেই ইফাতের দেখা মিলছে না। ছাগলটি কিনতে তিনি এক লাখ টাকা বায়না হিসাবে দিলেও পরে আর সেটি নেননি বলে সাদিক এগ্রো জানিয়েছে। ছাগলটি এখনও সেই খামারেই রয়েছে।