বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সুসংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীর ভূমিকা রাখছে। এ বিরোধিতা আগেও হয়েছে। এই বিরোধীরা পাকিস্তান আমলে বিরোধিতা করেছে।”
“যখন কোনও ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতা হয়। এখনও সেটা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
এ সময় শপথ করে মন্ত্রী বলেন, “বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সুসংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।”
স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও দেশে স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়— একথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না।”
আবুল কাশেম, এম এ হান্নানসহ অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব।”
“সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন। আর কারও কোনও বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হাওয়ার,” বলেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
