একটা ফুটবল ম্যাচে যা যা থাকার সব রকমের রসদই যেন ছিল দশরথ রঙ্গশালায়। লাল কার্ড, দর্শকদের উত্তেজনায় বোতল ছুড়ে মারা, দুই দফা মিলিয়ে প্রায় ৪০ মিনিটের ওপর খেলা বন্ধ থাকা এবং শেষ পর্যন্ত দশ জনের দল হয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নেপালের ফিরে আসা।
নারী সাফের সেমিফাইনালে ভারতকে শেষ পর্যন্ত রূদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে নেপালের মেয়েরা। এই জয়ে রেকর্ড ছয় বারের মতো ফাইনালে উঠল নেপাল। আগামী ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে স্বাগতিকদের। গত সাফেও ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে দেখা হয়েছিল নেপালের।
ম্যাচের ৫০ মিনিটে রেখা পাওডেলের লাল কার্ড পাওয়া নিয়ে উত্তেজনার শুরু দুই দলের। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মেজাজ হারান রেখা। এরপর উঠেই ভুটানের রেফারি ওম চকিকে ধাক্কা দেন। এরপর মাঠে দেখা যায় উত্তেজনা। দর্শকরা রেফারির দিকে ও ভারতীয় ফুটবলারদের দিকে বোতল ছুড়ে মারতে থাকে।
২০ হাজার ধারণক্ষম স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এর ওপর দর্শক নিয়ন্ত্রণে এপিএফ, সিটি পুলিশসহ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আনফা।
দশ জনের দল হয়েও দুর্দান্ত খেলতে থাকে নেপাল। কিন্তু ৭০ মিনিটে সঙ্গীতা বাসফোরের গোলে এগিয়ে যায় ভারত। ঠিক পরের মিনিটে আবারও গোল দেন নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি। কিন্তু রেফারি ওই গোলটি বাতিল করে দেয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তখনও ভারতীয় একজন বেঞ্চের ফুটবলার মাঠে ছিল। এই গোলটি রেফারিকে দিতে বাধ্য করতে থাকে নেপালি ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত খেলা বন্ধ ছিল প্রায় আধা ঘন্টার ওপর।
এরপর দুই দলের ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে রেফারি ও ম্যাচ কমিশনারের বাদানুবাদ চলে। অবশেষে দুই দল খেলতে নামে মাঠে। ফিরেই সাবিত্রা ভান্ডারি গোলটি পরিশোধ করে দেন। এরপর রাগে ক্ষোভে গায়ের জার্সি খুলে ফেলেন। এবং মাঠের পাশে থাকা বিলবোর্ড লাথি মেরে ভেঙে ফেলেন। অবশেষে ৯০ মিনিট শেষে পেনাল্টিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেপাল। নেপালের বদলি গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার ঠেকিয়ে দেন আশা লতা দেবী ও সানুর শট।