Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সিলেট-সুনামগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত   

সম্প্রতি সিলেটের গোয়াইনঘাটে সারিগোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফাইল ছবি : সকাল সন্ধ্যা
সম্প্রতি সিলেটের গোয়াইনঘাটে সারিগোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফাইল ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সিলেট শহরের জলাবদ্ধতা মঙ্গলবার সকালের দিকে কমলেও দুপুর নাগাদ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি ঢুকেছে। সুনামগঞ্জ শহরের অর্ধেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পানি বাড়তে থাকায় উৎকণ্ঠা বেড়েছে এসব এলাকার মানুষের।   

মঙ্গলবার সিলেটে সব নদীর পানি বেড়ে ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে উপজেলাগুলোয় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

সিলেটের ১৩টি উপজেলার সবগুলোর নিম্নাঞ্চলে পানি আরও বাড়ছে। এর মধ্যে ৫টি উপজেলার পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে। গোয়াইনঘাটে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।

সিলেটের গোয়াইনঘাটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় জননিরাপত্তা বিবেচনায় মঙ্গলবার বিকাল থেকে জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার মধ্যে ১০টি প্লাবিত। এর মধ্যে ৫টির বন্যা পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করেছে। কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ উঠেছেন। স্কুল-কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা দুর্গতরা।  

সিলেট

সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ৭১ মিলিমিটার।

সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মঙ্গলবার বিকাল ৩টার তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সোমবার ছিল ৭৪ সেন্টিমিটার উপরে। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সোমবার বিপৎসীমার নীচে ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা আগের দিন ছিল ৭৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।

নতুন করে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে জকিগঞ্জের অমলসিদে কুশিয়ারা নদীর পানি, যা বিকাল ৩টার তথ্য অনুযায়ী বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সকাল ৯টায় ছিল বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপরে। গোয়াইনঘাটে সারিগোয়াইন বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সকাল ৯ টায় ছিল বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপরে।

সিলেটের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের শুধু চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৩৯৫ মিলিমিটার। সীমান্তবর্তী ভারতের অন্য এলাকায়ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এজন্য নদীর পানি বাড়ছে এবং বন্যার বিস্তৃতি ঘটছে।

সিলেটের ১৩টি উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নই বন্যায় কবলিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলা। কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ক, সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক, সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়ক, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়ক এবং গোয়াইনঘাট-ফতেহপুর-সিলেট সদর সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিলেট-তামাবিল সড়ক, কানাইঘাট-দরবস্ত-সিলেট সড়ক, কানাইঘাট-বোরহান উদ্দিন সড়ক ও কানাইঘাট-শাহবাগ সড়কের বিভিন্ন স্থান বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১৯ হাজার ৭৫০টি পরিবারের ৯৮ হাজার ৪০০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৬ জন মানুষ ও ৮৬টি গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছেন। 

গোয়াইনঘাট উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে আরও বলেন, “বিগত পাঁচ দিনের টানা ভারি বৃষ্টি ও সীমান্তবর্তী ভারতের চেরাপুঞ্জি থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি ঘটছে।

“পিয়াইন, সারিগোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এবং উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এমতাবস্থায় জনস্বার্থে, পর্যটকদের জানমালের রক্ষায় ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল ও পান্থুমাইসহ সব পর্যটনকেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “জেলার সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাট, কোাম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

“সিটি করপোরেশন এলাকা ও সবকটি উপজেলা মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৯২৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।”

সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নদীর পাড় উপচে নগরের বেশ কিছু এলাকায় প্রবেশ করেছে। নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা  পরিদর্শন করেছেন সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সকাল থেকে আবার টানা বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রায় হাঁটু পানি জমে গেছে। পানিতে ডুবে গেছে তালতলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়। পানি ঢুকে পড়ায় এ স্টেশন থেকে সব যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নগরের কালীঘাট, মাছিমপুর, কাজীরবাজার, তালতলা, জামতলা, শাহজালাল উপশহর, তেররতন, সোবাহানীঘাট, যতরপুর এলাকা নতুন করে আবার বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সিটি করপোরেশনের ২৮ ও ২৯নং ওয়ার্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে যান সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে তিনি দক্ষিণ সুরমায় ২৬নং ওয়ার্ডের টেকনিক্যাল কলেজ রোডসহ কয়েকটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আশ্রয় নেওয়া লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও বন্যা দুর্গতদের জন্য সিসিকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় নগর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”

তালতলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, রবিবার রাত থেকে ফায়ার স্টেশনে পানি উঠতে থাকে। সোমবার বিকালে পানি কিছুটা কম থাকায় গাড়িগুলো স্টেশনের সামনে উঁচু স্থানে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে পানি বাড়ায় কিছু গাড়ি আলমপুরের স্টেশনে নিয়ে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, “যত সময় যাচ্ছে পানি বাড়ছে। স্টেশনে আমাদের লোকজন যেসব কক্ষে থাকতো সেগুলোগুলোতে পানি প্রবেশ করে হাঁটু সমান হয়ে গেছে। কিছু যন্ত্রপাতি দ্বিতীয় তলায় তুলে রাখা হয়েছে, আর কিছু যন্ত্রপাতি বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। এভাবে পানি বাড়লে গাড়ি ও ফাইটারদের শহরের অন্য কোথায় থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “জলাবদ্ধতার পানি নেমে গেছে। উজানের পানি নেমে আসায় নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নগরের নিচু এলাকায় প্রবেশ করেছে।

“সিলেট নগরীর ছড়ার পানি নদীতে পড়ার কথা, উল্টো নদীর পানি ছড়া উপচে এখন নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।”  

সুনামগঞ্জ   

সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া, আরপিন নগর, উকিলপাড়া, কাজীর পয়েন্ট, ষোলঘর, হাসননগর, বিলপাড়সহ শহরের বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার্থদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

পাহাড়ি ঢলে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জগন্নাথপুর, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ, দিরাই, শান্তিগঞ্জ  ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।

ছাতক-সিলেট সড়ক, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক, সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়ক প্লাবিত হওয়ায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ আছে। ছাতক  সুনামগঞ্জ সড়কের কয়েকটি স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে।

জগন্নাথপুর উপজেলার সংযোগ সড়কগুলো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা এলাকা প্লাবিত হওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক সুনামগঞ্জ শহরের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বন্যা কবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করছেন।

দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাঁধ ভেঙে ও সড়কের উপর দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে করে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। 

সুনামগঞ্জের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সুরমা নদীর পানি মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া যাদুকাটা নদী শক্তিয়ারখলা পয়েন্টেও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”

উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে বলে জানান তিনি। 

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রেজাউল করিম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “৫টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করেছে। কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ উঠেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত