Beta
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

শিক্ষাক্রম বদলাতে চান না মন্ত্রী

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
[publishpress_authors_box]

দেশের স্কুলগুলোয় এক বছর আগে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তবে এই শিক্ষাক্রম আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পর্যালোচনা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদে জাসদের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, “দেশে নতুন যে শিক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে তাতে মেধাবী একটি জাতি তৈরি হবে। নতুন এই শিক্ষাক্রম আমাদের আগামী প্রজন্মকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম করে তুলবে। মধ্য আয়ের দেশ থেকে ‍উন্নত দেশে রূপান্তরের পথকে সুগম করবে।”

অতীতের মুখস্থনির্ভর ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষাক্রম থেকে বের হয়ে বাস্তব দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বলেন, “নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে। এই শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে তা কীভাবে আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটা নিয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কার্যক্রম চলমান।”

ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান সজলের প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই, বিষয়টি তেমন নয়। আগের মতো মুখস্থনির্ভর ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা থেকে বের হয়ে আসার জন্য নতুন শিক্ষাক্রমেও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা প্রচলিত পরীক্ষার ধারণা থেকে ভিন্ন।

“এতে আগের মতো মুখস্থনির্ভর পরীক্ষা না থাকার কারণে অনেকেই নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেই বলে অভিযোগ করছেন। নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মুল্যায়নের সমন্বয়ে একটি আধুনিক ও কার্যকর মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এখানে লিখিত মূল্যায়নের পাশাপাশি সমস্যা সমাধান, একক কাজ, দলীয় কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উপস্থাপন ও যোগাযোগ সক্ষমতা, সহযোগিতা, নেতৃত্ব, অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ও পর্যবেক্ষণসহ আরও নানা উপায়ে শিখণ মূল্যায়ন করা হচ্ছে।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জেএসসি ও পিএসসি সমাপনী পরীক্ষা পুনরায় চালু করার কোনও পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই।”

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকার গত ১৫ বছরে ৮২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করেছে। এর মধ্যে ৫৪টি স্কুল ও কলেজ, ৩৭৪টি কলেজ, ৩৪৭টি স্কুল এবং ৪৯টি কারিগরি বিদ্যালয়।

এই সংসদ সদস্যের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, “বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫১ হাজার ২৬টি। নতুন বিধিমালার আওতায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতায় আনার কার্যক্রমও চলমান। সেসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের কোনও পরিকল্পনাও সরকারের নেই।”

গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। এরপর থেকেই তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্ক এখনও চলছে। এরইমধ্যে এবছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত