Beta
শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

কিউইদের হৃদয় ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার সাতে সাত

ৃুুু০৯৯
[publishpress_authors_box]

ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্যই ছিল নিউজিল্যান্ড। হারেনি টানা ১৩ সিরিজ। তবে অস্ট্রেলিয়ার সামনে পড়লেই নেতিয়ে যায় তারা। টানা ৩১ বছর ঘরের মাটিতেই তারা হারাতে পারেনি প্রতিবেশী দেশটিকে।

সেই রেকর্ড বদলে দেওয়ার দারুণ সুযোগ এসেছিল ক্রাইস্টচার্চে। কিন্তু মুঠোয় আসা ম্যাচটা বেড়িয়ে গেল মুঠো গলে। অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, প্যাট কামিন্সদের বীরত্বে ৩ উইকেটে জিতল অস্ট্রেলিয়া। তাতে দুই ম্যাচের সিরিজ কামিন্সের দল জিতেছে ২-০’তে।  নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটা ২০০৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার টানা সপ্তম টেস্ট জয়। নির্দিষ্ট কোন দেশে যা যৌথ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০০ সাল থেকে নিউজিল্যান্ড টানা ৭ ম্যাচ জিতেছিল জিম্বাবুয়ের মাটিতে। আর ১৮৮৯-৯৯ পর্যন্ত ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ ৮ টেস্ট জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।

২৭৯ রানের লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে জয়ের জন্য ক্রাইস্টচার্চে  অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২০২ রান, আর নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেট। ৩৪ রানে ৪ উইকেটের পর ৮০ রানে ৫ উইকেট হারানোয় লক্ষ্যটা কঠিনই হয়ে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ার।

 আজ (সোমবার) দিনের শুরুতেই ট্রাভিস হেডকে (১৭ রান) ফেরান টিম সাউদি।

এরপর প্রতিরোধ মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারির। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন গড়েন ১৪০ রানের জুটি। অবশ্য সকালের সেশনে দ্বিতীয় ওভারে ২৮ রানে ব্যাট করা মার্শের ক্যাচ রাচিন রবীন্দ্র না ফেললে অন্যরকমও হতে পারত ম্যাচটা।

৮০ রান করা মার্শ ফেরেন বেন সিয়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। পরের বলেই মিচেল স্টার্ককে উইল ইয়াংয়ের ক্যাচে পরিণত করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সিয়ার্স। জয়ের জন্য তখনো ৫৯ রান দূরে ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা শেষ করেন ক্যারি।

অষ্টম উইকেটে কামিন্সের সঙ্গে ৬৪ বলে ৬১ রানের জুটিতে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন ক্যারি। ১২৩ বলে ১৫ বাউন্ডারিতে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যারি। সফল রান তাড়ায় স্বীকৃত উইকেটকিপার হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটাই এখন অ্যালেক্স ক্যারির। সর্বোচ্চ ১৪৯* রান করেছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ১৯৯৯ সালে হোবার্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

৯৮ রানের ইনিংসের পাশাপাশি ১০টি ডিসমিসালে ক্যারিই হয়েছেন ম্যাচসেরা। এক ম্যাচে স্বীকৃত উইকেটকিপার হিসেবে কমপক্ষে একটি ফিফটি ও কমপক্ষে ১০টি ডিসমিসালের এমন ‘ডাবল’-এর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার তিনি। ২০০০ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ১০টি ডিসমিসালের পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গিলক্রিস্ট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত