মাঠ যার, দাপট তার। বর্তমান ক্রিকেটে এটাই হয়ে উঠেছে ‘চিরন্তন সত্য’। কিন্তু মাঠটা যদি হয় নিউজিল্যান্ডের এবং প্রতিপক্ষ হয় অস্ট্রেলিয়া, তাহলে এই কথা ঠিক খাটে না। টেস্ট ক্রিকেটে বরং নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই অস্ট্রেলিয়ার দাপট! নিজের মাঠে খেলেও ৩১ বছরে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি কিউইরা। সেই অপেক্ষার ইতি টানার সুবর্ণ সুযোগ নিউজিল্যান্ডের সামনে।
জমে উঠেছে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে নিউজিল্যান্ডের চাই আর ৬ উইকেট। অন্যদিকে কিউইদের মাঠে আধিপত্য বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে ২০২ রান।
রবিবার (১০ মার্চ) তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৩৭২ রানে অলআউট হলে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ হয় ২৭৯ রানের। সেই রান তাড়া করতে নেমে দিনশেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭৭।
২৭৯ কিংবা তার বেশি রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ১৩বার। গত বছরের অ্যাশেজে এজবাস্টন টেস্ট জয় তাদের সর্বশেষ প্রাপ্তি। তবে হ্যাগলি ওভালে এই লক্ষ্যও কঠিন করে তুলেছেন নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও বেন সিয়ার্স। তাদের তোপে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথ (৯), উসমান খাজা (১১), মার্নাস লাবুশেন (৬) ও ক্যামেরন গ্রিনের (৫) বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়েছেন ট্রাভিস হেড (১৭*) ও মিচেল মার্শ (২৭*)।
হেড ও মার্শের পর প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার হিসেবে আছেন কেবল অ্যালেক্স ক্যারি। তার মানে হলো, এই জুটি ভাঙলেই আরও উজ্জ্বল হবে কিউইদের জয়ের সম্ভাবনা। স্বাগতিকরা সেই অপেক্ষাতেই, ১৯৯৩ সালের পর প্রথমবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর উৎসব করার।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র খেলেছেন ৮২ রানের ইনিংস। টম ল্যাথামের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন ড্যারিল মিচেলও (৫৮)।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার প্যাট কামিন্স। ডানহাতি পেসার ৬২ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া নাথান লায়ন ৪৯ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট।