৪ উইকেটে ২০২ রানের স্কোর শেষ হলো ২৩৫ রানে! অর্থাৎ, ৩৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে নিউজিল্যান্ডকে বড় টার্গেট দিতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এরপরও হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে জিততে ইতিহাস গড়তে হবে কিউইদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ৩১ রানের লিড নিয়ে হ্যামিল্টন টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অভিষিক্ত কিউই পেসার উইলিয়াম ও’রুর্কের ৫ উইকেটে সংগ্রহ বেশি বাড়াতে পারেনি তারা। এই পেসারের দাপটে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে ব্যতিক্রম শুধু ডেভিড বেডিংহাম। তার চমৎকার সেঞ্চুরিতে ২৩৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করলে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ঠিক হয় ২৬৭ রানের।
সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১ উইকেটে ৪০ রানে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে ২২৭ রানে। দিনের শেষ বলে আউট হয়েছেন ডেভন কনওয়ে (১৭)। ২১ রানে অপরাজিত আছেন টম ল্যাথাম।
চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা যেকোনও দলের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তারপরও ২৬৭ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিনও নয়। যদিও সেডন পার্কের ইতিহাসে চোখ বুলালে কঠিন পথই অপেক্ষা করছে নিউজিল্যান্ডের জন্য। কারণ এই টেস্ট জিততে তাদের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন করে। সেডন পার্কে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার। ২০০০ সালে কিউইদের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্য টপকে গিয়েছিল স্টিভ ওয়াহর দল।
নিউজিল্যান্ডকে আরও বড় টার্গেট দেওয়ার সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটি হয়নি। বেডিংহাম সেঞ্চুরি না করলে হয়তো আরও ছোট হতো সংগ্রহ। আগের টেস্টে আলো ছড়ানো এই ব্যাটার এবার পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৪১ বলে খেলেছেন ১১০ রানের ইনিংস। তিনি ছাড়া বলার মতো পারফরম্যান্স কিগান পিটারসেন (৪৩) ও অধিনায়ক নিল ব্র্যান্ডের (৩৪)।
সফরকারী ব্যাটারদের সুবিধা করতে দেননি ও’রুর্ক। অভিষিক্ত এই পেসার ৩৪ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। এছাড়া গ্লেন ফিলিপস নিয়েছেন ২ উইকেট।