ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট শেষ হতে এখনও একদিন বাকি। তবে চতুর্থ দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে ইংল্যান্ড। অলৌকিক কিছু না ঘটলে জয় দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরুর করার কথা সফরকারীদের। চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। লিড নিতে পেরেছে মাত্র ৪ রানের।
আশার প্রদীপ যা একটু জ্বালিয়ে রেখেছেন ড্যারেল মিচেল। এ ব্যাটারকে দ্রুত আউট করতে পারলে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য বড় হওয়ার কথা নয়। মিচেল অপরাজিত আছেন ৩১ রানে। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার আর কেউ নেই। তার সঙ্গে পঞ্চম দিন শুরু করবেন অভিষিক্ত নাথান এলিস (১*)।
ইংল্যান্ড ৪৯৯ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে লিড নেয় ১৫১ রানের। কয়েক দফা বেঁচে গিয়ে সেঞ্চুরি পাওয়া হ্যারি ব্রুক করেন ১৭১ রান। অন্যদিকে অধিনায়ক বেন স্টোকস নিজেকে ফিরে পেয়েছেন ৮০ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে। এছাড়া শেষ দিকে গাস আটকিনসনের ৪৮ ও ব্রেডন কার্সির অপরাজিত ৩৩ রান রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
১৫১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ৬৪ রানে হারায় ৩ উইকেট। ওই জায়গা থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন কেন উইলিয়ামসন ও মিচেল। জুটি বেঁধে এগিয়ে নিতে থাকেন দলীয় সংগ্রহ। কিন্তু শেষ বিকেলে ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে আবার সব এলোমেলো। পরে হারিয়েছে আরেক উইকেট। দিনের শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট হারানোর দলের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কিউই পেসার ম্যাট হেনরি।
ক্রিস ওকস টানা ২ বলে ২ উইকেট তুলে নেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৯ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা উইলিয়ামসনকে ফেরান প্রথমে। সাবেক কিউই অধিনায়ক করেন ৬১ রান। তিনি আউট হওয়ার পরের বলেই ওকস তুলে নেন টম ব্লান্ডেলকে। খানিক পর গ্লেন ফিলিপসকে (১৯) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান কার্সি।
শেষ বিকেলের উইকেটগুলো না পড়লে দলের অবস্থা ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করছেন হেনরি। তবে ইংলিশ বোলারদের প্রশংসা করতে ভুল হয়নি তার, “আমার মনে হয়, মাঠে লম্বা সময় ধরে ফিল্ডিং করাটা শুধু নয়, ফিরে এসে প্রতিপক্ষকে ডিফেন্ড করাটাও চ্যালেঞ্জিং। তবে অবশ্যই ইংল্যান্ডের বোলারদের প্রশংসা করতে হবে। তারা দারুণ বল করেছে এবং আমাদের চাপে ফেলেছে।”
টেস্ট ক্রিকেটে জুটি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। যত বড় জুটি গড়া যায়, স্কোরবোর্ডে তত রান ওঠে। নিউজিল্যান্ড শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও পরবর্তীতে আর কোনও জুটি পায়নি। হেনরি বললেন, “আমাদের দারুণ কিছু জুটি হয়েছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত দিনের শেষ দিকে কয়েকটা উইকেট পড়ে যাওয়ার ক্ষতি হয়ে গেছে।”