Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

কিউইদের শঙ্কা বাড়িয়ে সুপার এইটে উইন্ডিজ

৩ড৪
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

[publishpress_authors_box]

এমন শুরু কল্পনাও করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ত্রিনিদাদে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারেই আউট ওপেনার জনসন চার্লস (০ রান)। দেখতে দেখতেই পাওয়ার প্লেতে ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবিয়রা। ব্রেন্ডন কিং ৯, নিকোলাস পুরান ১৭ আর রস্টন চেজ ফিরেন ০ রানে।

সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়ায় শেরফান রাদারফোর্ড-এর ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৩৯ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের পুঁজি। ১৬ রানে ৩ উইকেট বোল্টের।

জবাবে কঠিন এই পিচে নিউজিল্যান্ড থামে ৯ উইকেটে ১৩৬ রানে। ১৩ রানের জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ ম্যাচে আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৪। তাদের বাকি দুই ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পিএনজির বিপক্ষে। পিএনজিকে হারালেই নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে সুপার এইটে চলে যাবে আফগানরা।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে গ্লেন ফিলিপস ৪০, ফিন অ্যালেন ২৬, ডেরিল মিচেল ১২ ও কেন উইলিয়ামসন করেন ১ রন। শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনারের ১২ বলে ২১ রানের ইনিংসটি পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু।  আলজারি জোসেফ ১৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। গুডাকেস মোতির উইকেট ৩টি।

 টার্নিং পয়েন্ট

প্রথম ১১ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ওভার প্রতি ৫.২৭ রেটে ৫৮। শেষ ৯ ওভারে ১০.১১ রেটে ৯১ রান নেয় তারা। মিচেল স্যান্টনারের করা শেষ ওভারে শেরফান রাদারফোর্ড একাই নেন ১৮ রান। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬৮ রানে। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ১৪৯ রানের পুঁজি। রাদারফোর্ড এর এই লড়াইটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

৩০ রানের কমে ৫ উইকেট হারানোর পর ১৪৯ রান টি-টোয়েন্টিতেই সর্বোচ্চ রানের পুঁজি। আগের সেরা ছিল এ বছরই সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৪৬।

সেরা পারফর্মার

নিঃসন্দেহে শেরফান রাদারফোর্ড। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন ২৫ বছরের এই তরুণ। দেখতে দেখতেই স্কোরটা ৫ উইকেটে ৩০ রান, ৬ উইকেটে আর ৭ উইকেটে ৭৬ হয়ে যায়। সেখান থেকে ১০০ করাটাই চ্যালেঞ্জের। টেল এন্ডারদের নিয়ে সেই কাজটাই করলেন একটা সময় সিলেটের হয়ে বিপিএল খেলে যাওয়া রাদারফোর্ড।

ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসনদের পাত্তা না দিয়ে খেলেছেন ৩৯ বলে ২ বাউন্ডারি ৬ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৬৮* রানের ইনিংস। তার আগের সেরা ৬৭ এই বছরই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে দুটি ফিফটিসহ রান করেছেন ১৫২.০০ স্ট্রাইক রেটে।

ইনিংস বিরতিতে রাদারফোর্ড-এর সন্তুষ্টি, ‘‘এমন সুযোগ পাওয়ায় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। আমি শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে চেয়েছিলাম। দলের জন্য অবদান রাখতে চেয়েছিলাম, সেটা পেরেছি শেষ পর্যন্ত। এই উইকেটে ১৪৯ রান লড়াই করার মত স্কোর।’’

বিশ্বকাপে ৬ বার এর পরে ব্যাট করতে নেমে রাদারফোর্ড খেললেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৮* রানের ইনিংস। ২০১০ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৮৫* রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন হোয়াইটের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত