কিউইদের সাফল্য
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ : ফাইনাল
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : সেমিফাইনাল
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ : ফাইনাল
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : ফাইনাল
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : সেমিফাইনাল
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ : সেমিফাইনাল
ভারতের স্পিন, অস্ট্রেলিয়ার গতি, ইংল্যান্ডের সুইং-কন্ডিশন যেমনই হোক নিউজিল্যান্ড সফল সবখানেই। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে আইসিসির সবশেষ ৬টি বিশ্বকাপেই সেমিফাইনাল খেলেছে তারা, যা পারেনি আর কোনও দল। ফাইনাল খেলেছে ২০১৫ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। শিরোপা জিতেছে ২০২১ সালের টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের।
সেই নিউজিল্যান্ড এবার ছিটকে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে। তাও প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে। আফগানিস্তানের কাছে ৭৫ রানে অলআউট হয়ে তারা হেরেছে ৮৪ রানের বড় ব্যবধানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়েছে ১৩ রানে।
সব দিক দিয়েই পূর্ণ একটা দলকে অন্তঃসারশূন্য মনে হচ্ছে খোদ কোচ গ্যারি স্টিডের,‘‘ কিছুটা অন্তঃসারশূন্য লাগছে নিজেদের। সবাই হতাশ আমরা। এখানে এসেছিলাম ম্যাচ জিততে, টুর্নামেন্ট জিততে। কিন্তু আমাদের হাতে আর কিছু নেই।’’
এর কারণটা কী? প্রধান কারণ হিসেবে বলা যায় দল গঠনে ভুল করা। গত বিশ্বকাপের ১৩ জনকেই বিশ্বকাপে নিয়ে এসেছে তারা। নতুন খেলোয়াড় শুধু ম্যাট হেনরি ও রাচিন রবীন্দ্র। উইলিয়ামসন, বোল্ট, সাউদিরা এক দশক খেলছেন একসঙ্গে কিন্তু সবাই ছন্দে নেই। পুরো ফিট না হওয়ায় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন তো আইপিএল জুড়েই ছিলেন বেঞ্চে। ডেভন কনওয়ে ও ফিন অ্যালেনকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে লম্বা ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার পরপরই।
তাছাড়া সেই ফেব্রুয়ারির পর থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিও খেলেনি নিউজিল্যান্ড। আইপিএলে ৯ জন থাকায় বিশ্বকাপের আগে তারা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেনি। পরে এর প্রয়োজন বুঝতে পেরে আইসিসির কাছে ম্যাচ চাইলেও পায়নি। আর এভাবেই সব দিক দিয়ে পূর্ণ একটা দল এবার হয়ে গেল অন্তঃসারশূন্য।